ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরিতে আবেদন নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ৩৫ প্রত্যাশীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
চাকরিতে আবেদন নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ৩৫ প্রত্যাশীদের

ঢাকা: চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিএসএস পরীক্ষায় তিনবারের বেশি অংশগ্রহণ করতে না পারারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারের এ দুই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ৩৫ প্রতাশীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেন '৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের' আহ্ববায়ক শরিফুল হাসান শুভ।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের দুই সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফা রহমান ও সদস্য সচিব মো. রাসেল।

শরিফুল হাসান শুভ বলেন, আজকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সব ক্ষেত্রে ৩২ করেছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধ, জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন, ডাক্তার সব ক্ষেত্রেই ছিল।  কিন্তু আগে ভিন্ন ভিন্ন ছিল। আবার বিসিএস এ একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশগ্রহণ করতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমাটি স্থায়ীভাবে ৩৫ এবং শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত চেয়ে দীর্ঘ ১২টি বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলাম। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার গত ৩০ তারিখে একটি সুপারিশ কমিটি করেছিল যেখানে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার যে প্রতিফল সেটি ঘটেছিল। সেখানে আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলাম যে সুপারিশ কমিটির সুপারিশটি যেনো সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু আজকে মন্ত্রী পরিষদের যে পরিপত্রটি দেখলাম সেটি দেখে আমরা হতাশ হয়েছি।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী সাধারণত অনার্স শেষ করার পরে ৭-৮ বার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। সে জায়গায় সেটাকে সংকুচিত করে তিনবার দেওয়াতে আমরা সেটাকে প্রত্যাখ্যান করছি। সে সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমাটি স্থায়ীভাবে ৩৫ করে দেওয়ার জন্য আমরা যে আন্দোলনটি করেছিলাম সেটারও প্রতিফলন ঘটেনি। আপনারা যদি বয়সসীমা ৩২ করে দেবেন তাহলে কেন একটি সুপারিশ কমিটি করলেন কেনইবা এতদিন টালবাহানা করলেন?

চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সারজিস আলমের স্ট্যাটাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আজকে দেখলাম সারজিস আলম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাটি যৌক্তিক। আমি মনে করি সারজিস ভাই তুমিতো চাকরি করবে না। তোমার এখন অর্থ-সম্পদ হয়ে যাচ্ছে এবং হবে। কিন্তু এই যে দীর্ঘদিনের আন্দোলন, মন্ত্রী পরিষদের যে মিটিংয়ে দাবিটি উত্থাপিত হলো ৩৫ করে দেওয়ার জন্যে তুমি এ দাবিটি আটকে দিয়ে কিভাবে শিক্ষার্থী সমাজের দীর্ঘদিনের দাবিটির সঙ্গে প্রতারণা করেছ ? 

এ সময় শরিফুল বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাটি ৩২ করাকে এবং বিসিএস এ তিনবারের শর্ত জুড়ে দেওয়াটাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের বোধদয় হবে, তারা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৫ এবং শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত সে চাওয়াটি বহাল থাকবে। আমরা আবারো বলবো সরকারকে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনায় নিয়ে শর্তটা তুলে দিয়ে স্থায়ীভাবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাটি ৩৫ করে দেওয়ার জন্য।

নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের ভেতরে আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠে আন্দোলনের ঘোষণা দেবো। আর আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।