ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত নীলফামারীর কৃষক

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত নীলফামারীর কৃষক

নীলফামারী: শীতকালকে বলা হয় সবজির ভরা মৌসুম। মৌসুমের শুরুতে অনেকেই আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন।

ইতোমধ্যে নীলফামারীর বিভিন্ন জনপদে শুরু হয়েছে সবজি চাষ।  

বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকরা সবজির চাষের জন্য জমি তৈরির পর বীজ বপন ও পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন। এছাড়া কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে জমি চাষ, শাক-সবজি রোপণ ও তোলা, কীটনাশক স্প্রে, সার ছিটানো, জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন কৃষকরা। সবাই যেন আগাম শাক-সবজি বাজারে তোলার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।  

নীলফামারী জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার নিচু জমিতে রয়েছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। আর অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে লাগানো হচ্ছে নানা জাতের শাক-সবজি। আগে যারা ফুলকপি, পাতা কপি, শিম, লাউ, লাল শাক, পালং শাক, বেগুন ইত্যাদি লাগিয়েছেন তারা তুলে দ্রুত বাজারে পাঠাচ্ছেন। এসব সবজি ১০০ টাকা কেজির ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা গেছে দেখা গেছে, ভোর থেকে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ ফুলকপি ক্ষেতে আগাছা কাটছে আবার কেউ করলা ক্ষেতে কীটনাশক দিচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যা করতে দেখা গেছে অনেক কৃষককে।

জেলার সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়নকে শাক-সবজির ইউনিয়ন বলছে অনেকেই। কারণ এই ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এখানকার উৎপাদিত শাক-সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় পাঠানো হচ্ছে। দূর-দূরান্তের পাইকাররা ট্রাক নিয়ে মাঠ থেকে পাইকারি দরে সবজি ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছেন।  

ট্রাক নিয়ে আসা পাইকার আজগর আলী জানান, আমরা আগাম জাতের ফুল ও পাতা কপি পিস হিসেবে কিনেছি।  এতে করে কপির কেজি পড়ছে ৫০/৬০ টাকা কেজি পড়ছে। এসব কপি ঢাকা ও অন্যান্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এতে করে খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হচ্ছে। মাঠে শাক-সবজি বিক্রি করায় বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না কৃষকদের।

জেলার সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক ওয়াহেদ আলী জানান, এ বছরও জিনিসপত্রে দাম অনেক বেশি, আশা করছি বাজারদর ভালো থাকলে আগাম সবজি চাষে বেশ লাভ হবে। তবে মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। এ কারণে শীত শুরু হওয়ার আগেই শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করে দিয়ে এখন সেসব শাক-সবজি বাজারে তুলতে পারছি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ধানের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় কয়েক বছর ধরে শাক-সবজির আবাদ বেশি করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে আগাম জাতের শাক-সবজি আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন জেলার কৃষকরা।  

তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আবাদ বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি। তবে বৃষ্টির কারণে জেলায় সবজি চাষ সামান্য পিছিয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৭০ হেক্টর জমিতে আগাম শাক-সবজি চাষ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।