ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারি আশ্বাসে শাহবাগ ছাড়লেন অবরোধকারীরা

ইউনিভার্সিটি করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
সরকারি আশ্বাসে শাহবাগ ছাড়লেন অবরোধকারীরা প্রায় সাত ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সরকারের আশ্বাসে রাজধানীর শাহবাগ থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত আউটসোর্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন।

এর মধ্যে জাতীয়করণ না হলে আবারও তারা আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুর রাকিব সনেট বাংলানিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেন এলজিইডির আওতায় সরকারি দপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে বিকেলে তাদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যায়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলামের আশ্বাসে তারা বিকেল ৫টা নাগাদ শাহবাগের অবরোধ তুলে নেন।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুর রাকিব সনেট বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি দলের কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সংস্কার কমিটি বা বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ করা হলে আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।  

অবরোধে জনদুর্ভোগ
এই আন্দোলনকারীদের অবরোধের কারণে প্রায় সাত ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল করতে পারেনি। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। কেউ কেউ বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এসময় শাহবাগ মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল।  

অবরোধের বিষয়ে দুপুরে আব্দুর রাকিব সনেট বলেন, জনগণের সেবা প্রদানের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এটি আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ এর আওতায়, যা একটি কালো আইন।

তিনি বলেন, এর দ্বারা সরকার এবং কর্মরতদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডার ব্যবসার মাধ্যমে মূল্যবান অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। জনবল সরবরাহের নামে তারা কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই দ্রুত আউটসোর্সিং কর্মীদের রাজস্বভুক্ত করতে হবে।  

আরেক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাজস্বকরণ করলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে না। প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা ঠিকাদারকে দেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ হলেই সরকারের সঞ্চয় হবে। যার আসল ও লভ্যাংশ থেকে রাজস্বকৃতদের অতিরিক্ত যাবতীয় ব্যয় বহন করা সম্ভব।  

সিলেটের এক সরকারি দপ্তরের আউটসোর্সিং কর্মকর্তা সাব্বির বলেন, আমরা বিভিন্ন ঠিকাদারের অধীনে কাজ করে ন্যায্য বেতন পাই না। চাকরি স্থায়ী হলে আমাদের ওপর কেউ অন্যায্য আচরণ করার সুযোগ পাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
এফএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।