ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস: বিবিএস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস: বিবিএস

ঢাকা: শেরপুর জেলায় ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বসবাস করেন গারো ৪৪ দশমিক ০২ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বর্মা জনগোষ্ঠীর ২৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে আছে কোচ ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ। এছাড়া হোডি আছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ, হাজং ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, ডালু ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অন্যান্য শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শেরপুর জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ-২০২৩ এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনের সম্মেলন কক্ষে কি ফাইন্ডিং প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, নারী পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে প্রতি ১০৪ পুরুষের বিপরীতে নারী রয়েছে ১০০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পার্থক্য কোচদের মধ্যে আর কম ডালু জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ স্কুলের বাইরে রয়েছে। গ্র্যাজুয়েট রয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের মধ্যে সাপ্লাই পানি পান করেন মাত্র ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। টিউবওয়েলের পানি পান করেন ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। পাশাপাশি পুকুরসহ যেসব এলাকার পানি পান করা নিরাপদ নয় সেসব উৎস থেকে পানি পান করেন ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার হার ৬৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। এছাড়া কর্মসংস্থানের হার ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামে ৫১ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং শহরে ৫৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। পাশাপাশি বেকারের হারের ক্ষেত্রে শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। আয়ের উৎসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ করে কৃষিতে ৬৫ দশমিক ০২ শতাংশ, সেবা খাতে ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং রেমিটেন্স আয় করে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। জেলা ভিত্তিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডালু জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলা প্রশাসকের অনুরোধে করা হয়েছে। আগামীতে সারা দেশব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করা যায় কিনা সেটি ভেবে দেখা হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মফিদুর রহমান বলেন, আমরা সারা দেশব্যাপী একটি সাংস্কৃতিক জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই প্রস্তুতিও চলছে। আশা করছি ওই জরিপ হলে অনেক বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির চিত্র উঠে আসবে।  

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ কি ফাইন্ডিং প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনেক কিছুই থাকবে না। এর পর মূল প্রতিবেদনে সব কিছুই উঠে আসবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জরিপের প্রকল্প পরিচালক ফারহানা সুলতানা।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।