ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধু পূর্ণিমা উদযাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধু পূর্ণিমা উদযাপন

রাঙামাটি: সব প্রাণীর সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাঙামাটির রাজবন বিহারে মধু পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে।  

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজবন বিহারে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

 

পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল গ্রহণ, বুদ্ধপূজা, ফুলপূজা, বুদ্ধ মূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান, মধুদান, হাজার প্রদীপ দান, বিশ্বশান্তি প্যাগোডার উদ্দেশ্যে টাকা দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান করা হয়।

মধু পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ তিথিতে বর্ষাবাসরত তথাগত গৌতম বুদ্ধকে মধু দান করেছিলেন এক বানর। এ কারণে দিনটি মধু পূর্ণিমা নামে পরিচিত।

পূণ্যানুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয় রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ। সকল প্রাণীর হিতসুখ মঙ্গলার্থে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেয় পুণ্যার্থীরা।

শত শত বৌদ্ধ নর-নারী, বয়স্ক, বৃদ্ধ ও শিশুরা বিহারে গিয়ে মধু দানের পাশাপাশি বিভিন্ন পানীয় জাতীয় খাদ্যদ্রব্য দান করেন এবং সবার মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।

অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। উৎসর্গ সূত্র পাঠ করেন, জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির। এ সময় দূরদূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, বহু বছর আগে এ পূর্ণিমা তিথিতে বুনো হাতি বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করে ধ্যানরত বুদ্ধকে দান করত তা দেখে বনের বানরও মৌচাকের মধু সংগ্রহ করে ধ্যানে মগ্ন হয়। এ ঘটনাকে স্মরণ করতে প্রতি বছরের ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মধু পূর্ণিমা উদযাপন করে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।