ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আমরা নিজেরাও ভুক্তভোগী: সড়ক উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আমরা নিজেরাও ভুক্তভোগী: সড়ক উপদেষ্টা

ঢাকা: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানিয়েছেন, তারা নিজেরাও ভুক্তভোগী। তার গাড়িচালকেরও এক লাইসেন্স নিতে সাতবার ছুটি নিতে হয়েছিল।

 

রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিজেরাও ভুক্তভোগী। আমার ড্রাইভার এক লাইসেন্স নিতে সাতবার ছুটি নেয়। এক লাইসেন্সের জন্য সাতবার কেন ছুটি নেবে? আমরা তো সাতদিন সার্ভিস দিই। আমার তো একটিমাত্র গাড়ি। আমার ওয়াইফ কোথায় যাবে, আমি কোথায় যাব? এর কারণ হলো, উনারা জনপ্রত্যাশা তো জানেন না, এতদিন জানতেন না।

উপস্থিত থাকা বিআরটিএ প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একজন লোকের আপনি একটি টেস্ট নিতে পারেন। না হলে তো সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে, এটি বৈধ। একদিন সাবমিশন আরেকদিন টেস্ট, আরেকদিন পাবেন- তিনদিনের বেশি আপনাকে সময় দেওয়া হবে না।

তখন বিআরটিএ প্রতিনিধি বলেন, আমাদের এখন সেবাগুলো বলা চলে প্রায় ৯৫ শতাংশ অনলাইনে... পাওয়া যায়।

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, অনলাইন-অনলাইন এগুলো বলবেন না। আপনারাও (সাংবাদিক) একটু বলবেন। আমাদের সাহায্য করবেন এটি বলে, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন লাগে? কতবার যেতে হয়? আরেকটি অজুহাত শুরু হয়েছে.. অনলাইন, কম্পিউটার কিন্তু কিছুই নয়।

এ সময় বিআরটিএ প্রতিনিধি কথা বলতে চাইলে উপদেষ্টা তার উদ্দেশে বলেন, আপনি আমাকে কী বলবেন, আমার ড্রাইভারের তো সাত দিন...?

তখন বিআরটিএর প্রতিনিধি বলেন, এখন প্রত্যেক ড্রাইভারের কোনো সার্ভিসের জন্য আমাদের কাছে দুবার গেলেই হয়। ‌বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একবার। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ঘটনাগুলো ঘটছে। আমরা সিরিয়াসলি টেককেয়ার করছি।

তখন উপদেষ্টা বলেন, কয়টি লাইসেন্সের আবেদন পেয়েছেন এবং কয়টি দিয়েছেন এবং কত দিনের মধ্যে দিয়েছেন, সেই তথ্য আপনি সচিবকে দেবেন, আমরা দেখব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।