ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরের মেয়রসহ ১৬ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে, গণপিটুনিতে নিহত ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
চাঁদপুরের মেয়রসহ ১৬ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে, গণপিটুনিতে নিহত ১

চাঁদপুর: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরই আত্মগোপনে চলে গেছেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার ও সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদসহ ১৬ জন জনপ্রতিনিধি।  

গত ৫ আগস্ট থেকে এখনবধি তারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

তবে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খান ওই দিন সন্ধ্যায় গণপিটুনিতে নিহত হন।  

এসব জনপ্রতিনিধিদের বিষয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও তাদের দপ্তরে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় কথা হয় চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের সঙ্গে কথা হয়।  

তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত অফিসে আসছি। চেয়ারম্যান কবে আসবেন তা বলতে পারবো না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও নিয়মিত অফিস করছেন।

গত দু-দিন ধরে সদর উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সদরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানদের কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে আছেন স্বীকার না করলেও নিরাপদ অবস্থানে আছেন বলে জানান তিনি।

আত্মগোপনে আছেন যারা -

গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে আছেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সুমন ও পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।

ইউনিয়নের মধ্যে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন খান, আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি, শাহমাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন পাটওয়ারী, মৈশাদি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, তরপুরচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল, বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটওয়ারী, ইব্রাহীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খান, চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী, হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী ও রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হজরত আলী ব্যাপারী।

বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান পরিষদে আসেননি। আমরা সেবামূলক কাজ প্রস্তুত করে রেখেছি। কিন্তু উনার স্বাক্ষর ছাড়া দিতে পারছি না।

আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু বকর মানিক বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর আমাদের পরিষদে ভাঙচুর হয়েছে। এরপর থেকে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে আছেন। পরিষদে আসেন না।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়া জামিল সৈকত বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সেবাপ্রত্যাশীরা কোনো দুর্ভোগে না পড়েন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব জনপ্রতিনিধি উপস্থিত নেই তাদের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ৫ আগস্টের আগ থেকেই আত্মগোপনে এবং তার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। মেয়রের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে পৌরসভার জরুরি সেবামূলক কার্যক্রম চলমান আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।