ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাসপাতালে ফেলে যাওয়া শিশুটির ঠাঁই হলো নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
হাসপাতালে ফেলে যাওয়া শিশুটির ঠাঁই হলো নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া কন্যা শিশুটিকে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বয়স কয়েক মাস।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে ও আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে হস্তান্তর এক দম্পতির কাছে দেওয়া হয়।  

যাচাই বাছাইয়ের পরে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান শিশুটিকে লালন পালন করার জন্য শহরের একটি সন্তানহীন পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।  

সভায় জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যে শিশুদের মা বা অভিভাবক পাওয়া যায় না, সেসব শিশুর বিকল্প পরিচর্যার বিষয়ে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। যেহেতু এ শিশুটির অভিভাবকদের পাওয়া যাচ্ছে না, তাই শিশু আইন ২০১৩ এর সব বিধি বিধান মেনে শিশুটিকে আমরা হস্তান্তর করেছি। শিশুটিকে নেওয়ার জন্য প্রায় ১০ জন আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে যে নারী হাসপাতালে শিশুটির পরিচর্যায় সহযোগিতা করেছেন, শর্ত সাপেক্ষে তার কাছে আমরা শিশুটিকে দিয়েছি।  

এছাড়া ছয় বছর বয়স পর্যন্ত শিশুটির তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা নাজমুজ সাকিবকে দেওয়া হয়েছে।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোলেমান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আসাদুজ্জামান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা নাজমুজ সাকিবসহ জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ড ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।  

গত সোমবার (১ জুলাই ) সকাল ৮টায় শিশুটিকে নিয়ে এক নারী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন ও শিশুটিকে ভর্তি করান। সকাল ১০টার পর থেকে শিশুটির পাশে তাকে আর দেখা যায়নি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন ভর্তির কাগজের ঠিকানাসহ বিভিন্ন উপায়ে শিশুটির অভিভাবকদের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো অভিভাবক খুঁজে পায়নি।

তাই শিশু আইন ২০১৩ এর ৮৪(৩) ধারা মতে শিশুটি সুবিধাবঞ্চিত বলে গণ্য হয়। তার সার্বিক কল্যাণ ও সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে দেওয়া হলো। শিশুটির বিকল্প পরিচর্যা নিশ্চিত করার জন্য আবেদনকারীর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।