ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরের ঈদযাত্রায় ভোগাচ্ছে গাইবান্ধার ৪ কি.মি. সড়ক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
উত্তরের ঈদযাত্রায় ভোগাচ্ছে গাইবান্ধার ৪ কি.মি. সড়ক

গাইবান্ধা: উত্তরের ঈদযাত্রায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে গাইবান্ধার ৩২ কিলোমিটার অংশের চার কিলোমিটার ভোগাচ্ছে যাত্রীদের। চলমান ছয়লেন সড়ক নির্মাণ কাজের এ অংশে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

 

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ। টানা বৃষ্টিতে সড়কের দুধারে পানি আটকে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। ঈদযাত্রায় এমন বৃষ্টির ধারাবাহিকতায় থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মত ভুক্তভোগীদের।

শুক্রবার (১৪ জুন) এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।

পলাশবাড়ী পৌরশহরের নুনিয়াগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ট্রাকচালক আলমগীর হোসেন ও বাসচালক রিপন মণ্ডল। তারা নিয়মিত এই রুটে চলাচল করেন। তারা বলেন, মহাসড়কের গাইবান্ধার ৩২ কিলোমিটার অংশের সিংহভাগই চলাচলের উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জের মায়ামনি থানা মোড় থেকে দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড ও পলাশবাড়ীর ড্রিমল্যাণ্ড পার্ক থেকে ব্র্যাক মোড় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার অংশে যানজট লেগেই থাকে। ফলে তীব্র জ্যামে আটকে সময় অপচয়ের পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

কারণ হিসেবে তারা বলেন, এসব এলাকার অধিগ্রহণকৃত জমির উপরস্থ অবকাঠামো সম্প্রতি অপসারণ করায় সড়ক নির্মাণ কাজের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সেই সঙ্গে বৃষ্টি দুর্ভোগের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে, ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবারও বগুড়ার শেষ অংশ ফাসিতলা থেকে রংপুরের ধাপেরহাট পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার এলাকায় যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবক দল। মহাসড়কের বিশেষ অংশ আনা হয়েছে সিসি টিভির আওতায়। নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রী ছাউনি। ঈদযাত্রায় তিন দিন আগে ও পরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি সার্বিক পরিস্থিতিতে পলাশবাড়ীসহ গাইবান্ধা অংশের কোথাও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা চিন্তায় আছি গোবিন্দগঞ্জ নিয়ে। সেখানে সড়কের দুপাশের স্থাপনা ভেঙে ফেলায় রোলার দিয়ে চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সড়কের দুধারে পানি জমে গেছে। ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কষ্টকরে একটি লেন দিয়ে একটি করে গাড়ি পারাপার হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের পুরো টিম সেখানে কাজ করছে।  

গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়কের ৩২ কিলোমিটার অংশ পড়েছে গাইবান্ধা জেলায়। দক্ষিণে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা থেকে উত্তরে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পর্যন্ত মহাসড়কটি বিস্তৃত।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্তযোগাযোগে একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পের নাম দেয় ‘সাউথ এশিয়ান সাব–রিজিওনাল ইকোনমিক করপোরেশন’ (সাসেক)। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ হাতে নেওয়া হয়

গাইবান্ধার ৩০ কিলোমিটার অংশের কাজের দায়িত্ব পায় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ (সিএসসিইসি)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।