ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রক্ত দিতে হবে না, ইচ্ছা থাকলেই শহর-দেশ দূষণমুক্ত করা যাবে: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৪
রক্ত দিতে হবে না, ইচ্ছা থাকলেই শহর-দেশ দূষণমুক্ত করা যাবে: মেয়র আতিক

ঢাকা: উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রক্ত দিতে, মরতে বা আহতও হতে হবে না; শুধু মনের ইচ্ছা থাকলেই অবশ্যই এই শহর এবং দেশকে দখল-দূষণমুক্ত করা যাবে।

বুধবার (০৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই দেশটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছেন, জীবন দিয়ে স্বাধীন করেছেন। এখন এই দেশকে দখলমুক্ত এবং দূষণমুক্ত করতে হলে শুধু আমাদের মনের ইচ্ছা লাগবে। আমার না, আমাদের। আমরা সবাই নিজেদের চিন্তা করি। আমার কি খালের পাড়ে বিল্ডিং করে খাল ধ্বংস করা দরকার? আমার কি মাঠ দখল করে বাড়ি বানানো দরকার? আমরা কি এটা খাইতে পারবো নাকি কবরে নিয়ে যেতে পারবো? পারবো না। তাহলে আমরা খামোখা মানুষের বদ দোয়া করাবো কেন?

তিনি বলেন, আজ যে গাছ লাগানো হচ্ছে সেটি সৎগায়ে জারিয়া হবে। এই গাছ ছায়া দেবে, মানুষ নিচে বসে থাকবে। এটাকে সৎগায় জারিয়া বলা হয়। আর আমরা না আমাদের বিল্ডিং লাগবে, এটা লাগবে, ওটা লাগবে করে আমরা গাছগুলো কেটে ফেলছি।

মেয়র বলেন, খালগুলাকে আমরা দখল করে ফেলছি। দুই ধরনের দখল আছে, তা হল পরিবেশগতভাবে এবং দূষণের মাধ্যমে। তরল থেকে কঠিন সব ধরনের বর্জ্য আমরা খালে ফেলছি। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে, তাদের মেসেজগুলো দিতে হবে যে এই শহর আমাদের; এই দেশ আমাদের। আমাদের কাজ এই দেশকে রক্ষা করা। এই দেশ থেকে আমরা উপার্জন করছি। এই দেশ থেকে সবাই আমরা শুধু নিচ্ছি কিন্তু কিছু দিচ্ছি না।

বাসা বাড়ির পয়ঃবর্জের লাইনের নোংরা ড্রেনের মধ্যে ফেলার বিষয়ে মেয়র বলেন, জুন, জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাস পরে সেপ্টেম্বর থেকে আমরা প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চেক করতে চাই। যে কথা না শুনবে তাদের লিস্ট করে আবার কলা গাছ থেরাপি দেওয়া হবে। আমরা তাদের তিন মাসের জন্য সময় দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এই বছরের ২ লাখ গাছ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে লাগাচ্ছি। গতবার ৯৪ হাজার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু যে কথা আমি বলব সেটা হচ্ছে অনেক সোজা কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ করা অনেক কঠিন। তাই গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা ৪৭ জন মালিক নিয়োগ করতে যাচ্ছি।

কার পার্কিং এর বিষয় মেয়র বলেন, গুলশান-বনানীসহ অনেক জায়গায় বাসা বাড়ির পার্কিংয়ে রাজউক থেকে অনুমোদন করেছে কার পার্কিং হিসেবে, কিন্তু পার্কিংয়ের জায়গা দোকান দিয়েছেন। ফলে কার পার্কিংগুলো হয় রাস্তার মধ্যে। তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনাদের দিন কিন্তু শেষ। ঈদের পর থেকে রাজউক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে আমরা গুলশান থেকে অভিযান শুরু করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৪
এমএমআই/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।