ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এক মাসেও মেলেনি খুমেকের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
এক মাসেও মেলেনি খুমেকের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকার

খুলনা: সরকারি হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগের দীর্ঘ এক মাসেও প্রতিকার পেলেন না এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগের ২৬ দিনের মাথায় শনিবার (১ জুন) অভিযোগকারীকে ফোন কল দিয়ে সোমবার (৩ জুন) হাসপাতালে ডাকা হলেও দেড় ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করেও তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিতে না পেরে ফিরে গেলেন ভুক্তভোগী মিন্টু মাতুব্বর।

ঘটনাটি খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের। গত ৫ মে খুমেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগরীর হাফিজ নগর এলাকার মিন্টু মাতুব্বর তার স্ত্রী মাহমুদাকে নিয়ে গত ২৮ মার্চ খুমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগের ৩১০ নম্বর কক্ষে গিয়ে ডা. মো. আলাউদ্দিন শিকদারকে দেখান। তিনি ওইদিন দেখার পর কিছু ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখে দেন। পরীক্ষাগুলো বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে বলা হলেও তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করিয়ে ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকের কাছে ৩১০ নম্বর কক্ষে গেলে সামনে থাকা আউটসোর্সিং কর্মচারী তাকে জানান, ‘এখন স্যার রিপোর্ট দেখবেন না, দেড়টার পরে আসুন’। এ সময় তিনি তার এক প্রতিবেশী সাংবাদিককে বিষয়টি জানালে তার ফোন কলের পর রিপোর্ট দেখলেও ‘কেন সরকারি হাসপাতাল থেকে পরীক্ষাগুলো করালেন’ এজন্য কোনো চিকিৎসা না দিয়ে রিপোর্ট ছুড়ে ফেলেন। পরে তিনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সোমবার সকালে তাকে হাসপাতালে ডাকা হয়। কিন্তু ডেকেও তার কোনো বক্তব্য না নেওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে ফিরে যান।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মিন্টু মাতুব্বর বলেন, তার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত কমিটি তাকে হয়রানি করায় তিনি প্রতিকার পাননি। এজন্য তিনি সোমবার আরও একটি লিখিত অভিযোগ পরিচালকের দপ্তরে জমা দেন।

ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তিনি তার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান থেকে দুই ঘণ্টার ছুটি নিয়ে তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খুমেক হাসপাতালে হাজির হন। সেখানে রফিকুল ইসলাম নামে একজন অফিস সহায়ক তাকে বসিয়ে রাখায় ঘণ্টাখানেক পর তাকে আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের কাছে পাঠান। তিনি সেখানে গেলে তাকে না পেয়ে ফোন কল করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। একইসঙ্গে তিনি তাকে সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সাইদুল হকের কাছে যেতে বলেন। তিনি সেখানে গেলে তাকে জানানো হয়, ডা. সাইদুল হক মিটিংয়ে আছেন। এরপর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মিটিং শেষ হলে তিনি তার কাছে তদন্তের বিষয়ে বললে তিনি আবারও আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের কাছে যেতে বলেন। এ সময় আবার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারকে ফোন কল করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং তাকে ডা. সাইদুল হকের সঙ্গেই কথা বলতে বলেন। এভাবে উভয়ে তাকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ঘুরানোর পর তার ছুটির সময় শেষ হওয়ায় তিনি তার কর্মস্থলে চলে যান। এমতাবস্থায় আগের দেওয়া লিখিত অভিযোগের বক্তব্যই তার তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. মো. আলাউদ্দিন শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর অভিযোগ সত্য নয়। তার সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করা হয়নি।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য ও খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বাংলানিউজকে বলেন, কমিটির প্রধান ডা. সাইদুল হক মঙ্গলবার (৪ জুন) হজে যাবেন। এজন্য হজ থেকে ফেরার পর তদন্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।