ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সন্তু লারমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউপিডিএফের আহ্বান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
সন্তু লারমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউপিডিএফের আহ্বান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমা

রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও সাবেক গেরিলা নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুতন কুমার চাকমা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি পরবর্তী সরকার ১৯৯৮ সালে সন্তু লারমাকে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। নিয়োগের ২৫ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করলেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।  

প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করলেও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিনি সশস্ত্র গ্রুপ লালন করছেন। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করেন। বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার কাউকে ব্যক্তিগত সশস্ত্র বাহিনী রাখার কোনো অনুমতি পূর্বে নজীর নেই বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও বলা হয়,  সন্তু লারমা তার সশস্ত্র গ্রুপকে দিয়ে প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের খুন, জখম ও অপহরণ করছে। গত ২৫ বছরে তার সশস্ত্র গ্রুপের হাতে ইউপিডিএফ, আওয়ামী লীগ, জেএসএস সংস্কারের শত শত নেতা-কর্মী খুন হয়েছে।

এ বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত  ইউপিডিএফ’র খুন হয়েছে ২৭৭ জন এবং বিলাইছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাসহ আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী খুন হয়। এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সন্তু লারমা ২০০০ সালের ১৩ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ইউপিডিএফ’র এ নেতা আরও বলেন, যিনি দেশের আইন লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসী পালন করেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের ৪১ নং ধারা মোতাবেক সন্তু লারমার বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ইউপিডিএফের সহ-সভাপতি নুতন কুমার চাকমার পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে  প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা চিঠি হস্তান্তর করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।