ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেহেরপুরের গ্রাম-গঞ্জে বিদ্যুৎ নেই দুইদিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
মেহেরপুরের গ্রাম-গঞ্জে বিদ্যুৎ নেই দুইদিন

মেহেরপুর: দুইদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে মেহেরপুর জেলার ৬ লক্ষাধিক মানুষ। পাওয়া যাচ্ছে না মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও।

 

গত রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় শুরু হয় রিমালের প্রভাব। তখন থেকেই জেলার গ্রামগঞ্জের মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গতরাতে মেহেরপুর জেলা শহর ও গাংনী পৌরবাসী সামান্য সময় বিদ্যুৎ পেলেও এখন পর্যন্ত গ্রামগুলো রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের এজিএম কম সবুজ মোল্ল্যাহ বলেন, রিমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের একটি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া লাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। যে কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছের ডালপালা অপসারণের পর লাইন দিতে পারবো। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি লাইন মেরামত করে সংযোগ ফিরিয়ে আনতে।

গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, রিমালের প্রভাবের আগে থেকেই আমরা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছি। সামান্য বৃষ্টিপাত শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। দিনের অধিকাংশ সময়ে বিদ্যুৎ থাকছে না। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ এলেও খুব অল্প সময়ের জন্য থাকছে।

নওপাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান ও রহমত আলী বলেন, দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। চার্জের অভাবে মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে পানি নেই। মটরে পানি তোলার কারণে বাড়ির টিউবওয়েলগুলো অকেজো। বিদ্যুৎচালিত মটরের ওপর পানি নির্ভর করে। দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকায় কার্যত অকেজো হয়ে গেছে জীবন।

মুজিবনগর উপজেলার খানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও আহম্মেদ আলী বলেন, দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকাই চরম অস্বস্তিতে আছি আমরা। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশোডিং যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। দুইদিন বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার রাঁধাগোবিন্দপুর গ্রামের সাহার আলী বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেছে। দুইদিন পার হলেও বিদ্যুৎ আসেনি। গ্রাম-গঞ্জ এখন অন্ধকারে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পোল্টি খামারি মিজানুর রহমান জানান, রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। খামারের মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপদে আছি। দ্রুত বিদ্যুৎ না পেলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ বিজয় কুমার হালদার জানান, রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে জেলায় ৪৫ হেক্টর জমির কলাক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিরুপণ করা হয়েছে। তবে গত দুই দিনের বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়েছে। মাঠের অন্যান্য ফসল বিশেষ করে পাটের ব্যাপক উপকার হয়েছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার স্বদেশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মেহেরপুর ২৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।