ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লালমনিরহাটে জাল দলিল চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
লালমনিরহাটে জাল দলিল চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার 

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে জাল দলিল তৈরি চক্রের মূলহোতা দলিল লেখক মহুবর রহমানকে (৬০) জাল দলিলসহ গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ।  

সোমবার (২০ মে) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মধুরাম গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

তিনি সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মুহুবর রহমান তার প্রতিবেশী তোফাজ্জল হোসেনের রেকর্ডভুক্ত সাড়ে তিন শতাংশ জমি গত বছর ২৬ নভেম্বরে অনলাইনে ১১০/৯৪ নম্বর দলিল মূলে সদর উপজেলা ভূমি অফিসে নিজের নামে নামজারির আবেদন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তোফাজ্জল হোসেন দলিলটির জাবেদা কপি তুলে দেখতে পান যে ওই দলিলটি মহুবর রহমানের নামের দলিল নয় বরং তা মো. জহর উদ্দিন নামে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণা করে হুবহু আরেকটি দলিল তৈরি করে নামজারির জন্য আবেদন করা হয়েছে।  

এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তোফাজ্জল হোসেন রোববার (১৯ মে) লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডির সহায়তা চান। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তে নামেন সিআইডি লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দলিল লেখক মহুবার রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক জাল দলিল তৈরির সত্যতা স্বীকারও করেন মহুবার রহমান। তার কাছ থেকে ওই জাল দলিলটিও উদ্ধার করে সিআইডি।  

গ্রেপ্তার মহুবর রহমানের প্রতিবেশী লাভলু মিয়া বলেন, আমার এবং আমার চাচাতো ভাইয়ের ৬১ শতাংশ জমি জাল দলিল দেখিয়ে নিজের নামে খারিজ করার আবেদন করেছিল মহুবর। পরে ভূমি অফিস বুঝতে পেরে খারিজ করে দেয়। প্রতারক মহুবর আমাদের আরও একটি জমি তার নামে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে খারিজ প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে বিষয়টি ধরা পড়ে। সেখানে দলিলের নম্বর ঠিক থাকলেও দলিলটি মহুবরের না। মহুবর এমন প্রতারণা করে অনেকের জমি জবর দখল করে নিয়েছেন।  

আরেক প্রতিবেশী আব্দুস সালাম বলেন, আমার পৈতৃক জমি জাল দলিলে দখল করেছেন মহুবর। আমার ছেলে সরকারি চাকরি করায় ঝামেলা এড়াতে মামলায় যাইনি। মহুবরের প্রতারণায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।

সিআইডির লালমনিরহাট অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার মহুবর রহমান একাধিক জাল দলিলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার নামে জাল দলিলের আরও একটি মামলা বিচারাধীন। আমরা তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি জাল দলিল উদ্ধার করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।