ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাতারে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
কাতারে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে সোমবার

ঢাকা: কাতারে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সোমবার (২২ এপ্রিল) সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন। একই সঙ্গে জর্ডান, মরিশাস, মাল্টা, ব্রুনেই ও কুয়েতেও বাংলাদেশের শ্রমবাজার খুলে যাবে বলে জানান তিনি।

রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। এ সময়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, অভিবাসন একটি জটিল ইস্যু। এটি একক কোনো দেশের ওপর নির্ভর করে না। অনেক জটিলতা থাকলেও সেগুলো সুরাহা করে আমাদের কাজ করতে হয়। কাতারের সঙ্গে আগামীকালই আমাদের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। জর্ডানের সঙ্গে যেকোনো সময় এমওইউ সই হতে পারে বলে দুপক্ষই একমত।  

তিনি বলেন, মরিশাসের সঙ্গেও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে, মাল্টার সঙ্গেও কার্যক্রম চলছে। আপাতত এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ছাড়া যদি বলি, রাশিয়ায় দক্ষ কর্মী পাঠানো এরইমধ্যে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে রাশিয়া আমাদের জন্য একটি ভালো বাজার হবে।

সচিব বলেন, ব্রুনেইয়ে অনেক দিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হচ্ছে। কর্মী পাঠানোর চাহিদাও পেয়েছি। মরিশাসে বন্ধ থাকলেও চালু হবে। কুয়েতে কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নার্স পাঠানোর কার্যক্রম অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তারা আমাদের নার্সের চাহিদা পাঠিয়েছে। আমরাও প্রয়োজনীয় উপাত্ত পাঠিয়েছি। যারা নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েট কিংবা ডিপ্লোমা করা আছেন, তাদের মধ্যে যারা যেতে আগ্রহী, সরকারিভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় তাদের তথ্য আমরা পাঠিয়েছি। আশা করছি, কুয়েতে আমরা নার্স পাঠাতো পারব।

রেমিট্যান্স নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত তিন মাসে আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। শুধু আমাদের মন্ত্রণালয়ই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থবিভাগ সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করছি রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে তথ্য দিতে গিয়ে রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়া সরকার নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ৩১ মের মধ্যে আগের কোটা অনুসারে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেবে। এরপর আগের ব্যবস্থা তারা পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির জন্য কাজ করবে। আমাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রী সবসময় যোগাযোগ রেখেছেন। মালয়েশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এরইমধ্যে তাদের চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা বোঝা দরকার, সে অনুসারে আমাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় পরবর্তী যে কোটা তৈরি হবে, সেখানে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। তারাও এজেন্ডা ঠিক করছে, আমরাও এজেন্ডা ঠিক করার কাজে হাত দিয়েছি। ভবিষ্যতে যে আলোচনা হবে, তাতে কী কী আলোচনা হতে পারে সেই এজেন্ডা। যেমন, সিন্ডিকেট একটি ইস্যু হতে পারে। আমরা নিয়মিত দূতাবাসের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা মে মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে বসতে চাই।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমি এ মন্ত্রণালয়ে আসার পর সবসময় মালয়েশিয়ার সঙ্গে কথা বলছিলাম। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মীদের অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমি মনে করি, সেখানে দুটি গ্রুপ আছে। একটি গ্রুপ চাহিদার বিপরীতে যাচ্ছে, আরেকটি হলো যারা ভিজিট ভিসায় গিয়েছে, কিংবা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করছে। কখনো এ সংখ্যাটা বড়ো কিংবা ছোটো।  

তিনি বলেন, সর্বশেষ যে প্রতিবেদন অনুযায়ী, যারা চাহিদার বিপরীতে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কাজ হয়েছে। এটি সেখানে কাজে যাওয়া মোট কর্মীর মাত্র এক শতাংশ হবে। ভিজিট ভিসায় যারা গিয়েছেন, তাদের হিসাবে নিলে সংখ্যাটা একটু বড়ো হবে। তবে চাহিদার বিপরীতে  যারা মালয়েশিয়ায় গেছেন, তাদের মধ্যে যাদের কাজ নেই, আশা করছি ৩১ মের পরেই তাদের কাজ পুনর্বণ্টন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
জিসিসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।