ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদে পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
ঈদে পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কুয়াকাটা, পতেঙ্গা ও কক্সবাজার সৈকতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

পল্টনের ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে সব কিছু মনিটরিং করা হবে।

পাশাপাশি কক্সবাজারের প্রতিটি সৈকতকে ইন্টারকমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে পারবেন। সৈকতের নির্দিষ্ট স্থানে সুইচ থাকবে। বিপদগ্রস্ত বা সমস্যাগ্রস্ত কোনো পর্যটক চাইলে সেই সুইচ চাপ দিলে নিকটস্থ ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হবেন।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পল্টনের প্রধান কার্যালয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কালাম সিদ্দিক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট যা পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে। পর্যটনশিল্প বিকাশে অন্যতম প্রধান শর্ত এ শিল্পের নিরাপত্তা।

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের তথ্য মতে জিডিপিতে ট্যুরিজমের অবদান ২০১৩ সালে ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে। এ সাফল্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ অন্যতম অংশীদার।

আসন্ন ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১০/১১ এপ্রিল। সে হিসেবে ১০ এপ্রিল হতে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ছুটি, ১৩ এপ্রিল সপ্তাহিক বন্ধ এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। দীর্ঘ এই ছুটিতে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম আশা করা যাচ্ছে।

এই সময়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা সৈকতে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ সাজেক ভ্যালিতে এবারই প্রথম ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। সেন্ট্রাল সিসি টিভি মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে কক্সবাজার সৈকতের সমস্ত কার্যক্রম মনিটর করা যাবে। বাংলাদেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রমও মনিটর করা হবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রতিটি সৈকতকে ইন্টারকমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে পারবেন।

কক্সবাজারের প্রতিটি সৈকত এলাকায় সিকিউরিটি অ্যালার্মিং বাটন লাগানো হচ্ছে, এর ফলে কোনো পর্যটক কোনো সমস্যায় পড়লে বাটন টিপ দিলে সে বাটন ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সে আওয়াজ তৈরি করবে এবং পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ওই বাটন এলাকায় হাজির হবে।

প্রতিটি সৈকতে দেওয়া হচ্ছে ফ্রি মোবাইল ফোন সিস্টেম, যেখান থেকে পর্যটক সরাসরি ট্যুরিস্ট পুলিশ তথা সেন্টারে হোয়াটসঅ্যাপ এবং কল করতে পারবেন। এছাড়া সম্প্রতি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়ার গাড়ি ও ময়ূরপঙ্খী বিচ বাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় টহল ডিউটি করা হচ্ছে।

দেশের সব পর্যটন স্পটে স্বল্প সংখ্যক ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বিধায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সংশিষ্ট জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান করছে। এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্পলাইন নম্বর ০১৩২০-২২২২২২ এবং ০১৮৮৭-৮৭৮৭৮৭ এর মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা পর্যটকদের সেবা দেওয়া হয়।

মতবিনিময় সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা, গাজীপুর ইউনিটের প্রধান কর্মকর্তারাসহ ইউনিটের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা অনলাইনের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এসজেএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।