ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভালো বেতনের কথা বলে দুই তরুণীকে পতিতাপল্লিতে বিক্রি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
ভালো বেতনের কথা বলে দুই তরুণীকে পতিতাপল্লিতে বিক্রি প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: ভালো বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে গ্রাম থেকে ভাগিয়ে ঢাকা হয়ে ফরিদপুরের পতিতাপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলা করার পর পুলিশ পাচার চক্রের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামির নাম পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮)। তিনি রথখোলা পতিতাপল্লির বাসিন্দা আসাদ শেখের স্ত্রী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আপন (৩০), জহির (৩০) ও গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী পতিতা সর্দারনি ববি (৩৮)। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় মিলেনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান।  

ওসি বলেন, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানার কড়ইশ নামকস্থান থেকে গত ১০ মার্চ এক তরুণীকে ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুইদিন সেখানে রেখে তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। ওই তিন ব্যক্তি সেদিন সন্ধ্যায় মেয়েটিকে রথখোলা পতিতাপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরেরদিন একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে জানায়, এখন থেকে সে পতিতাপল্লির একজন লাইসেন্সধারী সদস্য।  

ওসি আরও জানান, এই মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যান্যদের মাধ্যমে জোর করে খদ্দেরদের মনোরঞ্জনের জন্য দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায়। এরমাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোটবোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা ২২ মার্চ সন্ধ্যায় রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ সেখানে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়েও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চায়। পরে তাকেও উদ্ধার করে পুলিশ।  

ওই মেয়েটি জানায়, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা পতিতাপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।  

ওসি বলেন, এ ঘটনায় চাঁদপুরের ওই মেয়েটির মা জোছনা বেগমের দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৮/১১/১২ ধারায় কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর নম্বর-৫৪ দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এসআই ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে গত ২৪ মার্চ পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।

হাসানুজ্জামান বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে মেয়ে দু'টিকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।