ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিপিওতে উদ্যান হবে: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
জিপিওতে উদ্যান হবে: পলক

ঢাকা: আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন হওয়ায় গুলিস্তান-জিরো পয়েন্ট জিপিওতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন অনুযায়ী উদ্যান হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে টেলিটক ও বাংলালিংকের পরীক্ষামূলক রোমিং শেয়ারিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এখনও তিনটি বড় ফ্লোরে ৩০ হাজার স্কয়ার ফিট অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কালকে প্রত্যেকটি ফ্লোর পরিদর্শন করেছি। আমি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়েছি। এ রকম একটি জায়গায় আমরা তিনটি ফ্লোর কেন ফেলে রাখবো!

তিনি বলেন, জিপিওতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ওখানে চার একর জায়গায় একটা উদ্যান হবে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে পানির জায়গা নেই। ভূমিকম্পের সময় যে মানুষ একটা মাঠে দাঁড়াতে চায়, সেই জায়গাটা নেই।

অসৎ-অলস কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরগুলোর অসৎ ও অলস কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

তিনি বলেন, ‘টেশিসের (টেলিফোন শিল্প সংস্থা) তিনটা জায়গা পড়ে আছে। উত্তরায় দুই একর জায়গা, আমরা মাত্র পাঁচ লাখ টাকা ভাড়া পাই মাসে। দুই একর জায়গা ১৫ তলা ভবন করে... টেলিটকের ২৫ কোটি টাকা আছে তারা অফিস করার জায়গা পাচ্ছে না। অথচ টেলিটককে গুলশানে বছরে ৩০ কোটি টাকা ভাড়া দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, বিটিসিএলের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে গিগাবাইট প্যাসিভ অপরটিক্যাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির আধুনিক উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা সারা দেশে চার লাখ গ্রাহককে আমরা দিতে পারি। অথচ এখানে আমরা মাত্রা ৫০ হাজার সংযোগ দিতে পেরেছি। আমরা নতুন একটা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি ‘জীবন’। যেটাকে আমরা মনে করছি বিটিসিএলের লাইফ লাইন হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা দেখেছি যেখানে জিবিআইওএন ৫০ শতাংশ ব্যবহার করা গেছে। সেই অঞ্চলটা লাভজনক। যেমন রংপুর। সেখানে গত সাত মাসে তাদের আয় সাত কোটি। তাদের সাত মাসে ব্যয় চার কোটি, তিন কোটি টাকা লাভ। কিন্তু পটুয়াখালী, সিরাজগঞ্জে লস। কারণ হচ্ছে নিশ্চয়ই ওখানে যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তাদের আন্তরিকতায় ঘাটতি আছে। কিংবা তাদের সক্রিয় কর্মকাণ্ডে ঘাটতি আছে।

'তাই আমরা বলেছি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে অসৎ এবং অলস- এ দুই ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করব। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।