ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদ টার্গেট করে অপহরণ-লুণ্ঠন মিশনে নেমেছিল তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
ঈদ টার্গেট করে অপহরণ-লুণ্ঠন মিশনে নেমেছিল তারা

ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার কদমতলী থানার জনতাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ওয়ারিতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসাইন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন-সেনাবাহিনীর সাবেক করপোরাল মো. মিজানুর রহমান (৪৪), মনির হোসেন (৪২), শান্ত মিয়া (২৬) ও মহসীন আহমেদ (৩৮)।  

অভিযানে তাদের কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, চাপাতি, দা, ডিবি পুলিশের পরিচয়পত্র, সাংবাদিকের পরিচয়পত্র, গামছা, মোবাইল সেট, সুইচ গিয়ার, খেলনা পিস্তল এবং হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, মাওয়া থেকে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়ে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় ফেলে পুরান ঢাকা হয়ে মুন্সিগঞ্জে ফেরার পথে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যের নেতৃত্বে এই চক্রটি ঈদকে টার্গেট করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ডিবি পরিচয়ে অপহরণ ও লুণ্ঠনের মিশনে নেমেছিল।  

ইকবাল হোসাইন বলেন, ওয়ারির কদমতলী থানার জনতাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে অপহরণ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণ চক্রটির মূলহোতা মিজানুর রহমান। তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক করপোরাল। চাকরিকালীন সময়ে র‌্যাবেও কর্মরত ছিলেন। অপহরণের পর ভুক্তভোগীদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতেন তিনি। এই চক্রের সবাই মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা।  

তিনি বলেন, চক্রের মূলহোতা মিজানুর রহমান গত তিন বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে স্বাভাবিক অবসরে যান। এরপর থেকেই সে একটি অপহরণ চক্র গড়ে তোলেন।  

পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মিজানুর রহমান নিজেকে কখনো কখনো সাংবাদিক বলেও পরিচয় দিতেন। এজন্য একটি পত্রিকার আইডি কার্ড ব্যবহার করতেন তিনি। এছাড়া টার্গেট কোনো ব্যক্তিকে তুলে নিতে ডিবি পরিচয় ব্যবহার করতেন। এরপর গাড়িতে তুলে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখাতেন। এমন কী গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করতেন। এরপর ভুক্তভোগীকে নির্জন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যেতেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের পর মোবাইল ফোনে অপহরণের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। তবে ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করতে পারিনি।  

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মিজান ও তার সহকারীরা মূলত ঈদ টার্গেট করে অপহরণের মিশনে নেমেছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে মাওয়া থেকে একজনকে অপহরণ করে এই চক্রটি। এরপর তার কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে নরসিংদীর মাধবধী এলাকায় ফেলে কদমতলী এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করি।  

গ্রেপ্তার মনিরের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত কতজনকে অপহরণ করেছে সেই বিষয়ে তথ্য জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা,মার্চ ২৫,২০২৪
এসজেএ/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।