ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খালে নির্মাণাধীন ভবন ৬০ হাজার টাকায় বেচে দিল ডিএনসিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
খালে নির্মাণাধীন ভবন ৬০ হাজার টাকায় বেচে দিল ডিএনসিসি

ঢাকা: খাল দখল করা নির্মাণাধীন দশতলা একটি ভবন ৬০ হাজার টাকায় নিলামে (ভ্যাট, আইটি ব্যতীত) বেচে দিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।  

ভবনটি ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে থাকা মোহাম্মদপুরের বছিলার রামচন্দ্রপুর খালে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল।

রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে ভবন বেচে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

তিনি জানান, ১৩ মার্চ দুপুরে অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ভবনটির উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম।  

নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ১৩ মার্চ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙার কাজ শেষ করে করে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ভবন ভাঙার কাজ চলছে।

আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন দশতলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়রের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়।  

তিনি বলেন, ভবনের মালিক ম্যাপ ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে খালের সীমানায় ভবনের ৮০ শতাংশ পড়ার বিষয়টি মেনে নেন। তিনি ভবনটি ভেঙে নেওয়ার জন্য সাতদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরে ভবন মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হয়েছে।

২৩ ফেব্রুয়ারি লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী।  

সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম নিজে সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার অভিযানে ছিলেন। টানা কয়েকদিনের অভিযানে ছয়টি স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।