ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রমজানের আগেই মুরগির বাজার চড়া, ৮০ টাকার নিচে নেই গ্রীষ্মকালীন সবজি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
রমজানের আগেই মুরগির বাজার চড়া, ৮০ টাকার নিচে নেই গ্রীষ্মকালীন সবজি

ঢাকা: পবিত্র রমজান শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১০০ টাকা।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ৮০ টাকার নিচে গ্রীষ্মকালীন সবজির ভোক্তাদের মিলছে না।

শুক্রবার (০৮ মার্চ) রাজধানীর তালতলা, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ ও লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কচুরমুখী ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, করলা ১০০, ঢেঁড়স ৮০, বরবটি ১৪০, শশা ৮০, খিরাই ৬০, পেঁপে ৫০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, ঝিঙ্গা ১০০, পটল ১২০, সজনে ২৪০ এবং প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০  থেকে ৮০ টাকায়।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০, পাকা টমেটো ৪০ থেকে ৬০, কাঁচা টমেটো ৩০, গাজর ৩০ থেকে ৪০, আলু ৩৫ এবং প্রতিটি ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ ও ব্রুকলি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলার হালি ৪০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০, মূলা শাক ১৫, পালং শাক ১০ থেকে ১৫, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ (চাষের, আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ২০০, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, দেশি কই ১ হাজার, মেনি মাছ ৭০০, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৯০০, বেলে মাছ ৭০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৪
এসএমএকে/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।