ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুরির অপবাদে নরসুন্দরকে নির্যাতন, অভিমানে আত্মহত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
চুরির অপবাদে নরসুন্দরকে নির্যাতন, অভিমানে আত্মহত্যা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাট কালীগঞ্জে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করায় অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন নরসুন্দর নুর আলম (২৮)।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর দুল্লার বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

নুর আলম ওই এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে। তিনি কাকিনা বাজারের একটি স্যালুনে নরসুন্দরের কাজ করতেন। এছাড়া নুর আলম ওই উপজেলার সর্বোচ্চ দীর্ঘাকার (৬ ফুট ৫ ইঞ্চি) পুরুষ ছিলেন।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে সেলুনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাড়ির পাশে দুল্লার বাজারে একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন নুর আলম। সেখানে কাউকে না পেয়ে গাড়িটি নিয়ে এসে তার বাড়ির উঠানে রাখেন। পরদিন রোববার সকালে গাড়ির মালিক একই এলাকার আসাদুল খোঁজ পেয়ে তার কাছে এসে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান।  

মোটরসাইকেল বুঝে পাওয়ার পর নুর আলমকে কৌশলে দুল্লার বাজার ক্লিনিকের সামনে ডেকে নেন মোটরসাইকেল মালিক আসাদুল। সেখানে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে লোকজনের সামনে বেদম মারধর ও অমানুষিক নির্যাতন করে মিষ্টি খাওয়ার জন্য দেওয়া টাকাও ছিনিয়ে নেন আসাদুল ও তার লোকজন।

এ ঘটনায় অভিমানে বাজার থেকে বিষ কিনে বাড়ি ফিরেন নরসুন্দর নুর আলম। এরপর রোববার দুপুরে সবার অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  

মৃত নরসুন্দর নুর আলমের স্ত্রী তহমিনা বেগম বলেন, মোটরসাইকেলটি হেফাজতে রাখতে আমার স্বামী নিয়ে এসে বাড়ির উঠানে রেখেছিল। যা পরদিন তারা মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর মিথ্যে চুরির অপবাদ দিয়ে আমার স্বামীকে নির্যাতন করা হয়েছে। যার কারণে লজ্জায় ও অভিমানে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।  

কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, পরিবারের অভিযোগ শুনে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।