ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওসির সামনে সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
ওসির সামনে সাংবাদিকের হাত-পা ভাঙার হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

ময়মনসিংহ: জেলার তারাকান্দায় পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে সাংবাদিকের হাত ও পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খাদেমুল আলম শিশির। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয় সংবাদ কর্মীকে।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাকান্দা থানায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াজেদ মিয়া।

হুমকির শিকার ওই সংবাদকর্মীর নাম মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি জাগোনিউজ অনলাইন পোর্টালের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি এবং স্থানীয় দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।

ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, উপজেলার পলাশকান্দা কান্দাপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ জালাল উদ্দিন তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন। জালাল উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশীর ঝগড়া থাকায় আশপাশের সবার বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও জালাল উদ্দিনের বাড়িতে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। পারিবারিক বিরোধের কারণে জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেয় না স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বিষয়টি নিয়ে শিশির চেয়ারম্যান বেশ কয়েকবার সালিশ করেন। কিন্তু মীমাংসা হয়নি। পরে সালিশে শর্ত দেওয়া হয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী বৃদ্ধা ফাতেমা খাতুনকে সবার কাছে মাফ চাইতে হবে, না হলে তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। কিন্তু ফাতেমা খাতুনের দাবি আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি কেন মাফ চাইব? 

এ ঘটনায় সরেজমিনে নিউজ করতে গেলে সাংবাদিক মঞ্জরুল ইসলামকে এই হুমকি দেন তারাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুল আলম শিশির।  

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াজেদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, থানার বাইরে দুই পক্ষের উচ্চবাক্য হয়েছে। পরে তারা থানায় এলে এখানেও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ সময় থানায় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা আসছিল। তারাও উচ্চবাক্য করেছেন।  

ওসি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন শহরে কাজ করে আসছি। এখন তারাকান্দা থানায় আসছি, চেষ্টা করি সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকার। তাই ঘটনার শেষে দুইজনকে মিলিয়ে দিয়েছি। এরপরও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম যদি কোনো অভিযোগ করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান খাদেমুল আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।  

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুম আহমেদ ভুঁঞা বলেন, ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে অভিযোগ দিলে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।