ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ে ভাঙ্গারি দোকানে মর্টারশেল, আতঙ্কে স্থানীয়রা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
পঞ্চগড়ে ভাঙ্গারি দোকানে মর্টারশেল, আতঙ্কে স্থানীয়রা!

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে এক ভাঙ্গারি দোকান থেকে একটি মর্টারশেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বস্তুটিকে বালু ভর্তি বস্তায় চাপা দিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখতে বলেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের শিপাইপাড়া বাজারে মেসার্স রুপা ট্রেডার্স নামে এক ভাঙ্গারির দোকানে বস্তুতি দেখতে পায় স্থানীয়রা।  

স্থানীয়রা ও দোকানদার জানায়, রাতে ভাঙ্গারির দোকানে বাংলাবান্ধা থেকে কিছু লোহা কিনতে আসে এক ব্যক্তি। এসময় বস্তুটিকে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া একটি মর্টারশেলের ছবির সঙ্গে বস্তুটি মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হন। এর পর থেকে সবার মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভাঙ্গারি দোকান মালিক রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আনিছুর রহমান নামে এক ফেরিওয়ালা দিনভর বাংলাবান্ধা বন্দর এলাকায় ভাঙ্গারি সংগ্রহ করে। সন্ধ্যায় আমার কাছে তা বিক্রি করেন। এদিকে রাতে আরেকজন কিছু মাল কিনতে এসে বস্তুটি দেখে জানান এটি বোম। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান, থানা পুলিশ ও বিজিবিকে জানানো হয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের লোক এসে বস্তুটিতে চিহ্নিত করে বালু ভর্তি বস্তায় চাপা দিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখে তালাবন্দী করেছে।

এদিকে স্থানীয়রা বলছে, বোম আতঙ্কে আশপাশের দোকান খোলা যাচ্ছে না। বস্তুটিকে দ্রুত আরও নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেওয়ার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে বস্তুটি ভাঙ্গারি দোকানে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বস্তুটি মর্টারশেল সাদৃশ্য। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে মৌখিক জানানো হয়েছে। তবে আইনি কিছু প্রক্রিয়া থাকায় চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করতে আমাদের প্রসেস চলছে। তারা এলেই জানা যাবে মর্টারশেলটি সক্রিয় কিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।