ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যেন কম পিলার থাকে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যেন কম পিলার থাকে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: ব্রিজের (সেতু) হাইটের (উচ্চতা) চেয়ে নদীতে বেশি পিলারের কারণে সিলট্রেশন (পলি জমা) হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এজন্য নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল অ্যান্ড রি-ক্লাসিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু নৌপরিবহন বা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়, নদী রক্ষা করার দায়িত্ব প্রতিটি মানুষের। এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। দেশে প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্টের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বপ্রথম ২০১০ সালে নদ-নদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি বিধিমালা জারি করা হয়। প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও দেওয়া হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মানুষের শিরায় শিরায় রক্তপ্রবাহ না থাকলে মানুষ মারা যায়, তেমনি নদীর নাব্যতা না থাকলে নদী মরে যাবে। ’ উচ্ছেদ অভিযান মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে। মানুষ এখন নদীতে ময়লা ফেলার আগে ডান-বামে তাকায়।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে ১৯৬৭ সালে এবং ১৯৮৯ সালে নদীর ‘হাই ও লো লেভেল’ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা দুটি করেছিল বিদেশি সংস্থা। এবার আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম এ সমীক্ষার কাজ করেছে। এর ফলে প্রমাণ হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।  

তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ নদ-নদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিধিমালা (সংশোধিত)  তৈরি করবে। সে বিধিমালায় যাতে কোনো স্ট্রাগল তৈরি না হয়; সেটি হবে সবার জন্য ফলপ্রসু এবং সবার জন্য সুবিধাজনক। নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর উচ্চতা নির্ধারণ করতে হবে। ব্রিজের হাইটের চেয়ে নদীতে বেশি পিলারের কারণে সিলট্রেশন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।  

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য প্রকৌশল মোহাম্মদ মনোয়ার উজ জামান। আইডব্লিউএমের নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ  ফারহানা আখতার কামাল সমীক্ষা প্রকল্পের ফল উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।