ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩০ হাজারে খুনি ভাড়া করে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
৩০ হাজারে খুনি ভাড়া করে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা গ্রেপ্তার ললিতা বর্মন

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে মাটিচাপা অবস্থায় টাবুল বর্মন (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে এসেছে তাকে হত্যার মূল কারণ। হত্যার পরিকল্পনাকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় দুই ব্যক্তিকে ভাড়া করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান টাবুলেরই তারই প্রেমিকা ললিতা বর্মন (৪০)।

গ্রেপ্তার ললিতা বর্মন ছিলেন নিহত টাবুলের প্রতিবেশী মন্টু বর্মনের স্ত্রী। টাবুল ও ললিতার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।  

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন পুলিশ সুপার এসএস সিরাজুল হুদা।  

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ জানুয়ারি মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাঘুমটি গ্রামের মৃত ভগিরাম বর্মনের ছেলে টাবুল বর্মন নিখোঁজ হয়। এর পর তার ছোট ভাই গোবিন্দ চন্দ্র বর্মন গত ১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও বিভিন্ন উৎস থেকে ভিকটিমের সর্বশেষ অবস্থান হাড়িভাসা এলাকায় পাওয়া যায় এবং ভিকটিমের সঙ্গে প্রতিবেশী (পরকীয়া প্রেমিকা) মন্টু বর্মনের স্ত্রী ললিতা বর্মন (৪০) ও তার মেয়ে মনিকা রানী বর্মন (২০) এবং হাড়িভাসা এলাকার তুলেন চন্দ্রের ছেলে জামাই প্রভাত চন্দ্র রায়ের (৩৩) মোবাইল নম্বরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তাদেরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মাঝে ভিকটিম টাবুলের নিখোঁজের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় পুলিশ।  

জানা যায়, টাবুল দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী ললিতার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ায় সম্মানের দিকে তাকিয়ে ললিতা এই অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে না চাইলেও টাবুল সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে ললিতা ক্ষুব্ধ হয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিচিত রফিকুল ইসলাম ও মোন্তাজকে অবগত করে টাবুলকে হত্যার জন্য ৩০ হাজার টাকার চুক্তি করেন ললিতা। পরবর্তীতে ললিতা ৩ দফায় মোন্তাজ ও রফিকুল ইসলামকে ১৮ হাজার টাকা দেন। ঘটনার দিন (৩১ জানুয়ারি) পরিকল্পনা অনুযায়ী, টাবুলকে কল করে হাড়িভাসা জয়গুন মার্কেট এলাকায় ডেকে নেন ললিতা।  

এরপর টাবুলকে প্রভাসের মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চাকলারহাট ডোলোপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ধারালো ছোট কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেন মোন্তাজ ও রফিকুল।  

গ্রেপ্তারের পর ললিতার দেওয়া তথ্যমতে, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নে ঘটনাস্থল থেকে মাটি খুঁড়ে টাবুলের লাশ তোলা হয়। এসময় হত্যায় ব্যবহৃত কুড়ালটিও জব্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।