ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমতলীতে ইটভাটায় নির্যাতনে শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৪
আমতলীতে ইটভাটায় নির্যাতনে শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ

বরগুনা: আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামে আইএসএসবি নামে একটি ইটভাটায় দাদনের ৪০ হাজার টাকা আদায়ের সময় নির্যাতনে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।  

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামে অবস্থিত ইসলাম অ্যান্ড সন্স নামে একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন একই ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের আনিছ গাজী (৫০)। দুই মাস আগে তিনি ভাটার সর্দার ছালাম চৌকিদারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাদন নেন। দাদন নিয়ে কয়েকদিন কাজ করে আটদিন আগে আনিছ বাড়ি চলে যান। বাড়ি যাওয়ার পর তিনি আর কাজে ফিরে না আসায় গত বৃহস্পতিবার রাতে আনিছ গাজীকে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে ভাটায় থাকার ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন এবং নির্যাতন করেন সর্দার ছালাম চৌকিদার ও খালেক। নির্যাতনের একপর্যায়ে রোববার সকালে আনিছের মৃত্যু হয় বলে দাবি করে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। আনিছের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।  

স্ত্রী ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী আনিছ গাজীকে ছালাম সর্দার ও খালেক ধরে নিয়ে ভাটায় থাকার ঘরে পায়ে শিকল পরিয়ে নির্যাতন করেন। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

নির্যাতনে শ্রমিক আনিছ গাজীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার পর ওই ভাটার সব শ্রমিকরা পালিয়ে গেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। তারা বলেন বর্তমানে ভাটার কাজ বন্ধ রয়েছে।

নির্যাতনে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আব্দুস ছালাম, আমতলী-তালতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন ও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভাটার মালিক মো. ফারুক গাজী বলেন, সর্দার কাকে দাদন দিয়েছেন এ বিষয়টি আমার জানা নেই। শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন শুনেছি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আব্দুস ছালাম বলেন, তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।