ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০২৪ সালে প্রথম সুইজারল্যান্ড থেকে আসবে এক কার্গো এলএনজি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
২০২৪ সালে প্রথম সুইজারল্যান্ড থেকে আসবে এক কার্গো এলএনজি

ঢাকা: সুইজারল্যান্ড থেকে ২০২৪ সালের প্রথম দেশে আসবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি। এ লক্ষ্যে দেশটির একটি কোম্পানি থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্পট মার্কেট থেকে (২০২৪ সালের প্রথম) ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজি সুইজারল্যান্ড’র টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ ২০৮ টাকা।

জানা গেছে, এলএনজি আমদানির জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি আছে। কিন্তু সরকার খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করে। এ জন্য ২০১৯ সালে খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট বা মিলিত বিক্রয়-ক্রয় চুক্তি (এমএসপিএ) পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে ২০২১ সালে জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং দুবাই- এর চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অন্যদিকে গ্যাস সংকটের কারণে গত কয়েক বছর বাসাবাড়ির পাশাপাশি শিল্পেও নতুন সংযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার। প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট বিবেচনায় ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। সামিট এলএনজি ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলারেট এনার্জির স্থাপন করা ভাসমান টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মাধ্যমে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর উপর ৮৩৮ দশমিক ৪০ মিটার সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজ যৌথভাবে এমবিইএল এবং এসইএল-কে দিয়ে করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ২০৯ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
জিসিজি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।