ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ধান-সবজি নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ধান-সবজি নিয়ে শঙ্কায় কৃষকেরা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের ফসলি মাঠজুড়ে রয়েছে আমন ধান আর শীতের সবজি। দুই থেকে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবে আমন ধান, আর বাজারে তুলতে পারবে শীতের সবজি।

কিন্তু ঠিক এ মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ফসল তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে কৃষকেরা।

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিল’র প্রভাবে লক্ষ্মীপুর মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে মৃদু বাতাসও বইছে। কৃষকরা জানান, বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি না হলেও রবিশস্য বা শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হতে পরে। তবে ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ বাড়লে ধানেরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।  

সরেজমিনে লক্ষ্মীপুরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতে আধাপাকা আমন ধান। তবে বেশিরভাগে ক্ষেতের ধান সবে মাত্র বের হয়েছে। কৃষকরা এখনো আমন ধান কাটা শুরু করেনি। আবার বেশ কিছু অঞ্চলে শীতের সবজির আবাদ করেছেন কৃষকেরা। কোথাও চারাগাছ লাগিয়েছে, কোথাও আবার ফল আসার অপেক্ষায়।  

আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আমন এবং শীতের সবজি আশানুরূপ উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছিলেন চাষিরা। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে ফসলহানির ভয় দেখা দিয়েছে।   

পৌর এলাকা দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ২৪ শতাংশ জমিতে আমনের আবাদ করেছি। বেশিরভাগ ধান বের হয়েছে। তবে এখনো পরিপুষ্ট হয়নি। এ অবস্থায় বাতাস তীব্র বাতাস হলে ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ফসল নিয়ে শঙ্কায় আছি।  

সদর উপজেলার চরমনী মোহন এলাকার কৃষক নুর আলম, রৌশন আলী, সফিক উল্যা বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষেতের ধান কাটতে আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এ সময়ের ঝড়ে ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছি আমরা। ঝড়ো বাতাসে ধানগাছ ভেঙে গেলে গাছ নষ্টসহ ধানে চিটা হয়ে যাবে।  

ভবানীগঞ্জ এলাকার কৃষক আবদুল গফুর, মাইন উদ্দিন, মনির হোসেন বলেন, আমরা শীতের শাক সবজির আবাদ করি। আমাদের এলাকার ফসলি মাঠজুড়ে টমেটো, কাঁচামরিচ, ফুল কপি, বাঁধা কপি, লাউসহ নানা জাতের শাক সবজির গাছ রয়েছে। ক্ষেতে পানি জমলে চারা মরে যাবে। আবার ঝড়ো বাতাস হলে টমেটোর গাছ ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে। শীতের সবজি উৎপাদনে আমরা লাখ লাখ টাকা ব্যয় করি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হলে আমরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হব।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিতে ধান বা সবজির ক্ষতি না হলেও বাতাসে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। কিছু কিছু জায়গায় ধান কাটার সময় হয়েছে, ওই ধানগুলো ঝরে যাবে। গাছ ভেঙে পড়বে।  

তিনি আরও জানান, জেলাতে চলতি মৌসুমে ৮৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। আর শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে তিন হাজার হেক্টর জমিতে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।