ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ: মেয়র আতিকুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ: মেয়র আতিকুল কথা বলছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজিত ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩’ এর সমাপ্তি উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িল লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ভিশনারি লিডার। তার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে। অন্যান্য মাছ চাষেও সাফল্য অর্জন করে চলেছে। সবাইকে এগুলো জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্মাণ করে দিয়েছেন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এসব উন্নয়ন গোল্ড ফিশের মতো ভুলে গেলে হবে না। এগুলো নিয়ে কথা বলতে হবে।  

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে অনেকগুলো লেক আছে। আমি মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেকের পানির মান পরীক্ষা করে দেখেছি। লেকগুলো মাছ চাষের জন্য অনুপযোগী। এসব লেকে পয়ঃবর্জ্যের ফলে পানি দূষিত। বারিধারা, গুলশান এলাকার জমির দাম অনেক বেশি। এখানে প্রতিটি বাড়িতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে জেনারেটর, এসি এসব লাগানো হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনো বাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্যানিটেশন সিস্টেম নেই। সবাই পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে লেকের পানি দূষিত করছে। বিষাক্ত অ্যামোনিয়ার ফলে লেকগুলোতে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। বরং মশার চাষ হচ্ছে।

তিনি বলেন, পয়ঃবর্জ্যের লাইন লেকে দেওয়া যাবে না। বাসা-বাড়িতে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমি কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা আপনাদের এলাকার ভবনগুলোর পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে দেওয়া বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেবেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। আমাদের সিটি করপোরেশনের টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে পয়ঃবর্জ্যের লাইন পরিদর্শন করছে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন ড্রেনে বা খালে পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়র বলেন, কুড়িল লেকে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ নেই বলে এখানে মাছ চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। কুড়িল লেককে একটি মডেল লেকে পরিণত করা হবে। এখানে সবার জন্য ফিশিং করার সুযোগ থাকবে। তবে শুধু কুড়িল লেক নয়। পর্যায়ক্রমে গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেকেও মাছ চাষ করা হবে। শহর বাঁচাতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। শহর ও দেশকে মনে প্রাণে ভালোবাসতে হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আজ কুড়িল লেকে তিনশ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এখানে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ এই চার প্রজাতির মাছের পোনা আছে।

ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি এম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, ডিএনসিসির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।