ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড

বরিশাল: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে আট জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বিভাগীয় মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১২ অক্টোবর) থেকে (শনিবার ১৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ১০২টি অভিযানে ৩৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত করা হয়।

এসব অভিযানে ২৫১ কেজি ইলিশ, ৬২ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা জালের বাজার মূল্য ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

এসময় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সমপরিমাণ মামলা হয়েছে। এরমধ্যে আট জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বাকিদের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ হওয়া সামগ্রী নিলামে আয় হয়েছে এক হাজার ৬০০ টাকা।

এদিকে, গেত দুদিনে বরিশাল বিভাগের ১৭টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১১৪টি মাছঘাট, ৩২৫টি আড়ত ও ১৯৬টি বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন জানান, ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থল সহ সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ। আর নিষেধাজ্ঞার সময়ে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের পাশাপাশি থানা, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। আর এই প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ নিরাপদে ডিম পারবে যা আগামীতে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।

নৌ পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের এসপি কফিল উদ্দিন জানান, নদীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ২২ দিন সাড়ে ৩০০ নৌ পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে। এতে করে এ অঞ্চলে অবৈধভাবে কেউ মা ইলিশ শিকার করতে পারবে না বলে আশা করছি। আর এর মধ্য দিয়ে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে, বরিশালের নদ-নদীর ৩২টি পয়েন্টকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহলে থাকবে যৌথবাহিনী। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ৩২ জন কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

উল্লেখ্য, সরকারের এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগের ৯০টি নদীতে র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিন-রাত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।