ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মধুর বোতল বা ষড়যন্ত্র- এসএ পরিবহনে আগুনের কারণ: এমডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
মধুর বোতল বা ষড়যন্ত্র- এসএ পরিবহনে আগুনের কারণ: এমডি

ঢাকা: গ্রাহকের পাঠানো ‘মধুর বোতল বিস্ফোরিত হয়ে’ এসএ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছেন এ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালাউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ‘কেউ ষড়যন্ত্র করেও আগুন লাগাতে পারে’ বলে ধারণা করছেন তিনি।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের পুড়ে যাওয়া এসএ পরিবহনের গোডাউন পরিদর্শনে আসেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ধারণার ব্যাপারে জানান সালাউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এখানে ৪০-৪২ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। এই প্রতিষ্ঠানে আগে কখনো এমন আগুনের ঘটনা ঘটেনি। আজকে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে অঘটনের সূত্রপাত মধু থেকে হয়েছে। মধুর বোতল বিস্ফোরিত হয়েছে। এর বাইরে আরও অনেক কিছু থাকতে পারে।

মানুষের আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের যে কর্মী বাহিনী রয়েছে সবাই সচেষ্ট। এখানে সহজে কোনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে না। বলার অপেক্ষা রাখে না কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করে আগুনের সূত্রপাত ঘটানোর ব্যবস্থা করেছে। এটা আমাদের বিভাগীয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

আতশবাজি ও কেমিকেল বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কোনো কেমিকেল ছিল না। তবে পূজা উপলক্ষে অনেকগুলো আতশবাজি, আগরবাতি ছিল। এগুলো বিস্ফোরকের আওতায় পড়ে না।

অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল কিনা জানতে চাইলে এসএ গ্রুপের এমডি বলেন, আমাদের পুরোপুরি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। এটা একটি ছোটখাটো ঘটনা, বড় কিছু নয়। এখানে আমার জরুরি কিছু পার্সেল পোড়া গেছে। দুটি গাড়িতে আগুন লেগেছে। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে এটাকে দেশব্যাপী বিরাট বিস্ফোরণ বলা যাবে।

ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তদন্ত না করে বলা যাবে না। এখানে গ্রাহকের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাহক আমাদের তাদের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দেয় না। তাই আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি দিয়ে দেব।

সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাকরাইলে এসএ পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের গোডাউনে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরপর একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস টিম। তবে আগুন এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নির্বাপণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এনএসআই, র‌্যাব, আনসার, সিআইডি, রেড ক্রিসেন্ট, ও স্কাউট সদস্যরা।

এর আগে আগুনের ঘটনা সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম জানান, গোডাউনের ভেতর থেকে থেমে থেমে কিছু আতশবাজির বা পটকা ফোটার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। তারা ধারণা করছিলেন, গোডাউনের পার্সেলের ভেতরে পটকা বা আতশবাজি জাতীয় কিছু থেকে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে এ তথ্য জানা যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।