ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের টানে জয়পুরহাটে এসে বিয়ের পিঁড়িতে ফিলিপাইনের নারী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
প্রেমের টানে জয়পুরহাটে এসে বিয়ের পিঁড়িতে ফিলিপাইনের নারী

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এসে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করেছেন এনা মারিয়া ভেলাস্কো (৩৭) নামের ফিলিপাইনের এক তরুণী।  

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা শহরের ভাড়া বাসায় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

বিয়ের পর তার নাম রাখা হয় মরিয়ম আমান। বিয়ে করতে, সংসার করতে সেখানকার চাকরি ছেড়ে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তার স্বামী আবদুল্লাহেল আমান (৩৭) ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সাইফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। বর্তমানে তিনি ১ ছেলে সন্তানের জনক।

মারিয়া আমানের শাশুড়ি ও তেলাল কুসুমশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ফিলিপাইনের নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোর ফেসবুকে পরিচয়। সে আজ আমার পুত্রবধূ হয়েছে। আমরা সবাই খুশি।

আবদুল্লাহেল আমান বলেন, ২০২০ সালে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। তখন ফেসবুকে বেশি সময় কাটাতেন। ফেসবুকে আনা মারিয়ার সঙ্গে খুদে বার্তা আদান-প্রদান শুরু হয়। মারিয়া তখন সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এরপর তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দুজন নিয়মিত অনলাইনে কথা বলতেন।

আবদুল্লাহেল আমান আরও বলেন, সম্প্রতি মারিয়া সৌদি আরবের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করার আগ্রহের কথা জানায়। আমিও তার কথায় রাজি হই। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের কথাটি জানাই। পরিবারের সদস্যরা সবাই রাজি হন। শনিবার  (২ সেপ্টেম্বর) রাতে সৌদি আরব থেকে মারিয়া ঢাকায় পৌঁছায়। আজ রোববার বাদ জোহর আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।

আবদুল্লাহেল আমানের উপজেলা সদরের ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, নববধূকে দেখতে উৎসুক লোকজন বাসার সামনে ভিড় করেছেন। এক পর্যায়ে আবদুল্লাহেল আমান তার স্ত্রীকে বাসার মূল ফটকের সামনে নিয়ে আসেন। নববধূ মারিয়া উপস্থিত লোকজনদের হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর এলাকার লোকজন নববধূ ও বরের সঙ্গে সেলফি তোলা শুরু করেন।

সেখানে উপস্থিত নাসির হোসেন বলেন, আমাদের দেশের অনেক জায়গায় ভালোবেসে বিদেশি তরুণী আসার কথা পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে দেখেছি। ফিলিপাইনের এক নারী ভালোবাসার টানে আমাদের ক্ষেতলালে ছুটে এসেছেন। তারা বিয়েও করেছেন। এটি জানার পর তাদের দেখতে এসেছি।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারিয়া ভেলাস্কোকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তিনি নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তার পাসপোর্ট ভিসা সবগুলো চেক করেছি। তার সমস্ত কাগজ পত্র ঠিক আছে। বর্তমানে তারা বৈধ স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।