ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিছানায় মিলল প্রবাসীর স্ত্রীর হাত-মুখ বাঁধা মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
বিছানায় মিলল প্রবাসীর স্ত্রীর হাত-মুখ বাঁধা মরদেহ

পিরোজপুর: পিরোজপুরে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় কোমেলা বেগম (৫০)  নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বৈবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত কোমেলা বেগম উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের মৃত ছলেমান শেখের মেয়ে। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী ওমর ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বৈবুনিয়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে একাই থাকতেন।

নিহত ওই নারীর ভাই জাহিদুল শেখ জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে হত্যার পর  ঘাতকরা তার ফোনসহ গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন। এর  আগে তার দুইটি বিয়ে হয়েছিল।

স্থানীয় প্রতিবেশী মুন্নি বেগম জানান, ওই নারীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক আছে। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে আমাদের বাড়িতে খাওয়ানোর জন্য আমার মেয়ে নাঈম (০৮) ও ছেলে শাদিদকে (০৩) দিয়ে তাকে ডাকতে পাঠাই। তারা ঘরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখে আমাকে ডাক দেয়। আমি পার্শ্ববর্তী হাসিনা বেগমকে নিয়ে ওই ঘরে গেলে তাকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত অবস্থায় দেখি।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ তার নিজ বসত ঘর থেকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে গত দুই-তিন দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে জেলার সদর উপজেলার উত্তর শিকারপুর (ডাকুয়া বাড়ি) এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হাসি রানি ঘরামি (৫৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হাসি রানি ওই এলাকার সত্যেন্দ্র নাথ ঘরামির স্ত্রী।

নিহত ওই নারীর স্বামী জানান, ওই দিন তার স্ত্রী ঘরে একা ছিলেন। সন্ধ্যায় ঘরের কাজের মহিলা (গৃহ পরিচালিকা) নমীতা রানি ঘুরে ঢুকে দেখতে পান দরজা খোলা। পরে তিনি বাথরুমে গিয়ে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা গিয়ে ওই নারীকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন।

তিনি আরও জানান, কোনো চোর চক্র ঘরে চুরি করতে গিয়ে তাকে হত্যার পর তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে।

পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।