ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সকালে দগ্ধ স্ত্রীর মৃত্যু, বিকেলে চলে গেলেন স্বামীও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
সকালে দগ্ধ স্ত্রীর মৃত্যু, বিকেলে চলে গেলেন স্বামীও ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আতাহার আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে মারা যান আতাহার আলীর স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০)। একইদিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় আতাহার আলীর।

গত রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডের মান্নান মাস্টারের চারতলা বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, আতাহারের শরীর ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দম্পতির মেয়ে আফসানা (৫) ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ভর্তি আছে। মুক্তার বাবাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা আলতাফ শিকদারের শ্যালক মো. মাহবুব জানান, আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনার দিন ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, ওই বাসায় তিতাস গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তার ধারণা, নিচতলার বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। এ কারণে বিস্ফোরণের পর তারা দগ্ধ হয়। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে মুক্তা খাতুন তার স্বামী তাদের মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।