ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা পূরণে আমরা এখনো রয়েছি: বিচারপতি নিজামুল হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা পূরণে আমরা এখনো রয়েছি: বিচারপতি নিজামুল হক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা শেষ করা যাবে না। সময়ের বিবর্তনে তিনি এখন আমাদের মাঝে নেই।

তবে তার ইচ্ছা পূরণের জন্য আমরা এখনো রয়েছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার (১৩ আগস্ট)  আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি)।

আলোচনা সভায় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না, বঙ্গবন্ধুই চিনিয়েছেন যে আমরা বাঙালি, তা আমাদের রক্ষা করতে হবে। দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল, তখন তার বয়স ছিল ৫৬ বছর। খুনিরা হত্যার সময়ে কাউকেই ছাড়েনি। ৭ বছরের শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছিল। এ থেকেই বোঝা যায় খুনিরা কতো হিংস্র ছিল। অনেকে বলে, তাদের টার্গেট ছিল শুধু বঙ্গবন্ধু। কিন্তু না, তাদের টার্গেট ছিল পুরো পরিবার।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেই জনগণের জন্য কাজ করেছেন এবং এর মাধ্যমে নিজের উন্নতিও সাধন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সংবাদ পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, স্বাধীনতার মাত্র ৪৪ মাসের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। যারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি জিঘাংসা কত বেশি আপনাদের উপলব্ধি করতে হবে। কারাগারের মতো নিরাপদ যায়গায় ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।  

বিএনপি বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান হিসেবে গড়ার চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আমরা ৭৫ এ জেল থেকে বের হয়ে দেখলাম বাংলাদেশ বেতারের জায়গায় রেডিও বাংলাদেশ হয়ে গেল, জয় বাংলার জায়গায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ হয়ে গেল। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ম্লান করে দিতে চাওয়া হয়েছিল, মুছে দিতে চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুইয়া, বিএসপির সাধারণ সম্পাদক এম জে কিবরিয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এসসি/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।