ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা দরকার: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা দরকার: কৃষিমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা আমাদের উৎপাদন বাড়াতে চাই, এজন্য আমাদের আধুনিক কৃষিব্যবস্থা দরকার। এজন্য আমাদের এডভান্স টেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজি এসব জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে হবে।

গবেষণার জায়গাতেও উন্নতি করতে হবে। আমাদের কৃষকরা এখনো পুরনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। এটি একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য।

বুধবার (০২ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে জলবায়ু অভিযোজন: কৃষিভিত্তিক শিল্পোন্নয়নে বাংলাদেশের সুযোগ শীর্ষক গোলটেবিল সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আরেকটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের শ্রমিক সংকট। কৃষিখাতে, আমাদের শ্রম সংকট প্রবল এখন। কৃষিখাতে সরকারের বিভিন্ন অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩ হাজার কোটি টাকা এখন পর্যন্ত কৃষিখাতে ভর্তুকি দিয়েছি। সারে আমরা এখনো ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। যা দুনিয়ার কোথাও নেই। ২০১৮ সালে আমি যখন খাদ্যমন্ত্রী তখন প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকে ৯০ টাকা কেজির সার আমরা ২৫ টাকায় নিয়ে এসেছি।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কাজের সূত্রে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছি। নীলফামারী, গাইবান্ধার মতো জায়গাগুলোতে, যেগুলো আগে ছিল মঙ্গাপীড়িত। যে জায়গাগুলো বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত। সেখানেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।

তিনি আরও বলেন, গত ১২-১৩ বছরে দেশের কৃষিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০০৮ সালে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম খাদ্য, পুষ্টিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। চ্যালেঞ্জটা কোথায়? আমাদের জনসংখ্যা। যেটি এখনও ক্রমবর্ধমান। আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আজকে সবাই জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলছে। যেটি এখন দৃশ্যমান। আমরা বাংলাদেশের কৃষিকে বাণিজ্যিক এবং লাভজনক খাতে রূপান্তর করতে চাই। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বন্যা, খরা, জ্বলোচ্ছাস প্রায় প্রত্যেক বছরই হয়। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবে বা প্রভাব ছাড়াই বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল৷ লবণাক্ততা, খরা, অধিক তাপমাত্রার জন্য অনেক ফসল হচ্ছে না।

ড. রাজ্জাক বলেন, আমার কথা হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা এগিয়ে আসবেন এ সমস্যাগুলো সমাধানে। কৃষি খাদ্য প্রক্রিয়ায় আমরা পিছিয়ে আছি। অল্প কিছু ব্যবসায়ী এ খাতে বিনিয়োগ করেছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী সাহাবউদ্দীন বলেন, এটি আমার প্রধান দায়িত্ব আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের এ সময়ে জাতির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা। আমরা বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও জলবায়ু পরিবর্তনের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশ (আইসিসিবি) স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO) এর সঙ্গে যৌথভাবে রাউন্ডটেবিলটির আয়োজন করে। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রাউন্ডটেবিলটি চেয়ার করেন এবং মডারেট করেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড: রুহুল আমিন তালুকদার কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের কর্পোরেট, ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিং প্রধান বিটোপি দাস চৌধুরী ক্লাইমেট এডাপটেশনের ওপর স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের একটি পেপার উপস্থাপন করেন।

রাউন্ডটেবিলে প্যানালিষ্ট বক্তা হিসাবে ছিলেন- ড. এফ এইচ আনসারী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসিআই মটরস লিমিটেড; ড. টি. এস. আমজাদ বাবু, কৃষি অর্থনীতিবিদ, ইন্টারন্যাশনাল মেইজ অ্যান্ড হুইট ইম্প্রুভমেন্ট সেন্টার; এ.ফ.এম আরিফ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং মো. খরশেদ আলম, নির্বাহী পরিচালক, সাসটেইনএবেল ফাইনান্স ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।