ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোশাকশিল্পে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
পোশাকশিল্পে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা: পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা, ৬৫ শতাংশ বেসিক এবং ৫টি গ্রেড বাস্তবায়নে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মজুরি বৃদ্ধির দাবি আদায়ের জোট ‘মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে এবং গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্ট ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি এ এম ফয়েজ হোসেন, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা প্রদীপ রায় প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ৯ এপ্রিল পোশাকশ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন হলেও, এখন পর্যন্ত মাত্র একটি বৈঠক হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী ৬ মাস মেয়াদের প্রায় ৪ মাস হতে চলেছে আগামী ৯ এপ্রিল। অথচ মজুরি নির্ধারণে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ বোর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাতের ৪০ লাখ শ্রমিক যখন বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা তখন মজুরি বোর্ডের নিষ্ক্রিয়তা রহস্যজনক, যা শ্রমিকদের জীবনকে ভয়াবহ দুর্বিষহ করে তুলছে।

শ্রমিক নেতা বলেন, বরাবরের মতো গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের ৮৪% , ৪৬৯৯ কোটি ডলার এসেছে পোশাকখাত থেকে, যা গত বছরের তুলনায় ১০% বেশি। রপ্তানির ধারাকে এগিয়ে নিতে পোশাকখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে, সরকারিভাবেই এসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অথচ মালিকরা সে তথ্য স্বীকার করছেন না।

অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানি আয় দেশীয় ব্যাংকে জমা না হয়ে বিদেশে পাচার হচ্ছে বলে বক্তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকের জীবন বাঁচাতে নতুন মজুরি নির্ধারণের বদলে যেভাবে বোর্ড গড়িমসি করছে এবং তথ্য গোপনের চেষ্টা করছে, তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে অগ্রাহ্য করে লামছাম ধরিয়ে দেবার পরিকল্পনা শ্রমিকরা মেনে নেবে না। নির্বাচন কেন্দ্রিক জাতীয়  রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘনীভূত হবার সময় শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শ্রমিকরা মেনে নেবে না।

বক্তারা আরো বলেন, ২৫ হাজার টাকা মজুরি নিশ্চত করার আগ পর্যন্ত ৬০% মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে। এছাড়া মজুরি কাঠামোতে ৭টি গ্রেড কমিয়ে ৫টি করতে হবে। কারণ গ্রেড বাড়িয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর চেষ্টা চলছে আগের কাঠামোতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।