ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে কারখানার ভেতর রং মাস্টারকে পিটিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
নরসিংদীতে কারখানার ভেতর রং মাস্টারকে পিটিয়ে হত্যা

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদীতে একটি ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং কারখানায় নেজামূল ইসলাম ওরফে নাজমুল (৪০) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে মাধবদীর ভগিরথপুর হাজী সফিউদ্দিনের মালিকানাধীন  নিলা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের তিনতলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  শ্রমিকসহ  নয়জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

নিহত নেজামূল ইসলাম ওরফে নাজমুল নিলা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের রং মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার নেহালিয়া কান্দা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, মাধবদীর ভগিরথপুর হাজী সফিউদ্দিনের মালিকানাধীন নিলা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের ভেতরে একটি মরদেহ পড়ে আছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। পরে কারখানার ভেতরে থেকে মাথা নিচের দিকে ও পা উপরের দিকে একটি জানালার গ্রিলে বাধা অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই সময় কারখানার মেঝেতে প্রচুর পরিমাণ রক্ত ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী  সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ নাজমুলকে পিটিয়ে ও ধারালো কিছুদিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শ্যালক একই মিলের শ্রমিক কিরণ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এ মিলে কাজ করে আসছি। আমার দুলাভাইকে মিল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

এদিকে শ্রমিক নিহতের খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একটি দল ও নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মাধবদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, কারখানার ভেতরে মাথা নিচের দিকে ও পা উপরের দিকে একটি জানালার গ্রিলে বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমরা মিলের ৯ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।