ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তথ্য দিলে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাবে মশককর্মী: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
তথ্য দিলে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাবে মশককর্মী: তাপস ফাইল ফটো

ঢাকা: এডিস মশার প্রজননস্থল কিংবা লার্ভা পাওয়া যেতে পারে এমন স্থান ও স্থাপনার তথ্য দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকাবাসীর দায়িত্বশীল সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। পাশাপাশি তথ্য দেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে সিটি করপোরেশনের মশককর্মী সংশ্লিষ্ট স্থানে পৌঁছে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৫ জুলাই) সোনারগাঁও হোটেল সংলগ্ন হাতিরঝিল জল নিষ্কাশন যন্ত্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আমি বারবার বলেছি, আবারও ঢাকাবাসীকে বিনীত অনুরোধ করছি আপনারা যেখানে মনে করবেন যে লার্ভা পাওয়া যেতে পারে বা আশঙ্কা করবেন পানি জমে আছে তাই লার্ভা হতে পারে- তা আমাদের জানান। জানানো মাত্রই ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের মশককর্মী, মশক সুপারভাইজরসহ গিয়ে সে লার্ভা ধ্বংস করে, পানির আঁধার বিনষ্ট করে সে জায়গা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিতে পারবে। আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমাদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে সহযোগিতা করুন। পানি কোথাও জমতে দেবেন না। পানির উৎস ধ্বংস করতে পারলে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত হতে পারব।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এবার ডেঙ্গু আগেই চলে এসেছে। যে সময় তীব্র দাবদাহ ছিল সে সময়েও ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। অথচ সে সময় হওয়ার কথা নয়। সে বিষয়গুলো আমরা আমলে নিচ্ছি, আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করছি। ২০২১ সালে আমরা দুই মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। সেটিকে বাড়িয়ে এখন আমরা চার মাসের কার্যক্রম নিয়েছি। আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। কার্যক্রমও বাড়িয়েছি। এমন কেউ বলতে পারবে না, কোনো ঠিকানা, কোনো রোগী, কোনো স্থাপনায় লার্ভার তথ্য দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমাদের মশককর্মী যায়নি।

ডেঙ্গ রোগ নির্মূল করা যায় না বরং নিয়ন্ত্রণ করা যায় জানিয়ে এ নগরপিতা বলেন, ডেঙ্গু রোগ নির্মূল করা যায় না। পৃথিবীর কোনো দেশ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা যদি উন্নত দেশের সঙ্গে তথ্য ও পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখেন, তাহলে দেখবেন অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। যদিও আমাদের মৃত্যুর হার বাড়ছে। মৃত্যু হার কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আরও নজর দিতে হবে। চিকিৎসা সেবার মান ও পরিধি আরও বাড়ানো হবে। একজন রোগীও যেন আশঙ্কাজনক অবস্থায় না যায়, এ জন্য প্রাক যে কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই মৃত্যুর হার কমাতে পারব।

প্রতিকূল পরিবেশেও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এডিস মশার যে বিস্তৃতি তা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আমাদের বৃষ্টির পরিমাণ অন্য দেশের তুলনায় বেশি হয়েছে। তারপরও আমরা সেটি করতে পেরেছি। বুঝতে হবে এটি সামগ্রিক জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে এডিস মশা আমাদের দেশে বিস্তৃত হয়েছে, প্রজনন হার বাড়িয়ে চলেছে। সেটিকে রোধ করতে হলে সবাইকে মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ করপোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।