ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডাকাত দলে তিনটি বড় গ্রুপ, রয়েছে সাবগ্রুপও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
ডাকাত দলে তিনটি বড় গ্রুপ, রয়েছে সাবগ্রুপও

ঢাকা: ফরিদপুরের একটি ডাকাতির ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এই ডাকাত দলে রয়েছেন ৩৫ জনের মতো সদস্য।

 

ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ডাকাত দলটির এই সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের ডাকাতি করে আসছেন।

এদের রয়েছে বড় বড় তিনটি গ্রুপ। এসব গ্রুপের রয়েছে আবার দুই তিনটি সাবগ্রুপও।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বাখন্ডা বাজারে গত ২৭ মে ১৫টি দোকানে সিরিজ ডাকাতি করে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল। পরে সোমবার (৩ জুলাই) দিনভর রাজধানীর শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইসমাইল সরদার ওরফে লিটন (৩৮), মো. সুমন মাতুব্বর (৪২), মো. মামুন সরদার (৩০), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩), মো. হারুন বেপারী (৫৬), জলিল ওরফে সম্পদ বেপারী (৬১), শেখ জাহাঙ্গীর (৫২), ও মো. রুবেল মোল্লা (৩৪)।  

তাদের কাছ থেকে তালা কাটার যন্ত্র, রুপার অলঙ্কার ও ১৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও সুমন মাতুব্বর ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত ককটেল তৈরির সালফার ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, তারা বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করছিলেন।  

তারা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বরিশাল-ফরিদপুর, মাওয়া- গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করেন।  

তিনি বলেন, ডাকাত সুমনের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ২০টি মামলা রয়েছে। ডাকাত মামুন সরদারের নামে ছিনতাই ও মারামারিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। মো. ইসমাইল সরদার ওরফে লিটনের নামে দুটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। মো. হারুন বেপারীর নামে দুটি ডাকাতি ও একটি অপহরণ মামলা রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। এর মধ্যে কয়েকজন রয়েছেন, যখন যেই কাজ পেতেন, তাই করতেন। ফরিদপুরে ডাকাতির ঘটনায় আমরা ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এই ঘটনায় তারা ৫০ লাখ টাকা মালামাল নিয়েছেন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা এই ডাকাতি করতেন। তারা যেসব জায়গায় ডাকাতি করতেন, সেখানে আগে পর্যবেক্ষণ করে নিতেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩

এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।