ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া সেই গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া সেই গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়া সেই গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার (১৮ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নাম শামছুন্নাহার (৩৫)। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। তার স্বামীর নাম শাজাহান বলে জানা গেছে।

জানা যায়, স্বামী শাজাহানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় শামছুন্নাহার কয়েক বছর ধরে এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করে কষ্টকর জীবন-যাপন করতেন বলে জানিয়েছেন নিহতের বড় ভাই সেকান্দর আলী।  

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সেকান্দর আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মতো আর কারো বোন যেন এই ধরনের ঘটনার শিকার না হয়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ১৬ জুন রাতে গার্মেন্টস ছুটির পর গাজীপুরের মাওনা থেকে হাইওয়ে মিনি পরিবহনের একটি বাসে করে ভালুকায় আসছিলেন শামছুন্নাহার। এ সময় যাত্রাপথে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে ফাঁকা বাসে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাসটির চালক ও হেলপাররা। এতে ওই নারী তাদের বাঁধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে চালক ও হেলপাররা তাকে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যায়।  

এতে ওই নারী মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়।

ওসি আরও জানান, ওই রাতেই বাসটিসহ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটকরা হলেন- চালক মো. রাকিব মিয়া (২১), কন্ডাক্টর আনন্দ দাস (১৯) ও হেলপার মো. আরিফ মিয়া (২১)।

পরে ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার (১৭ জুন) ওই নারীকে দেখতে মমেক হাসপাতালে ছুটে যান ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাছুম আহম্মেদ ভূঞা। এ সময় তিনি ওই নারীর সুচিকিৎসায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন: ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টা, আটক ৩

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।