ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এই ভোট থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এই ভোট থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  

এই ভোট থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এই দুই সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে না।

ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল (১২ জুন) অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসব উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট দিয়েছে। বরিশালে ৫০ শতাংশের বেশি এবং খুলনায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে না। আমার মনে হয়, বিএনপির এই ভোট থেকে এই শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।  

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ভোট বর্জন করেছে, তাদের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে, তাদের কর্মীদের ভোটে অংশ নিতে নিষেধ করেছে। কিন্তু দেখা গেছে, তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা দুটি সিটি করপোরেশনের ভোটে প্রার্থী হয়েছেন এবং জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।  

মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও, জনগণ ভোট বর্জন করে না। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।

এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের -বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়- এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সমস্ত পত্রিকা লিখেছে অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট হয়েছে। সমস্ত টেলিভিশন রিপোর্ট করেছে- অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। অথচ মির্জা ফখরুল গৎবাঁধা কথা বলছেন। মির্জা ফখরুল একই টেপ রেকর্ড থেকে বের হতে পারছেন না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাকে আরেকটা টেপ রেকর্ড দিলে ভালো হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশ ও আশপাশের দেশের নির্বাচনে, বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক সহিংসতা হয়, অনেক গণ্ডগোল হয়। সেই তুলনায় গতকালের নির্বাচন আমি মনে করি, একেবারে একটি মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন ইসলামী আন্দোলন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আপনি কি মনে করেন, শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের পেছনে কোনো ইন্ধন বা কারণ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসলামী আন্দোলন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে— দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু যারা বিজয়ী হয়েছে, তারা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। এতে তারা বুঝতে পেরেছে, আগামী দুই নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নেই। সেই জন্য পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা এই ঘোষণা দিয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এটি করেছে, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তদন্ত করছে। উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি, তার মুখে ঘুষি লাগলেও রক্ত বের হয়নি। তবে একজন প্রার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। সবকিছু ছাপিয়ে অত্যন্ত সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।

আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা যাবে না বলে নীতিমালা থাকলেও অনেকে এটি মানছেন না। এ নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত কোনো আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেল সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। তবে এ কথা সত্য যে, কিছু আইপি টিভি- যাদের বেশিরভাগই অনিবন্ধিত এবং কিছু ইউটিউব চ্যানেল কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করছে। এটি আমাদের নজরে এসেছে, পত্রপত্রিকায়ও আমরা দেখেছি। এ ব্যাপারে খুব সহসা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
জিসিজি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।