ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভিসানীতি প্রয়োগে সাফল্য আছে কিনা জানতে চেয়েছি: মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
ভিসানীতি প্রয়োগে সাফল্য আছে কিনা জানতে চেয়েছি: মোমেন

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বিশ্বের যেসব দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে, সেখানে কোনো সাফল্য এসেছে কিনা রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তবে তিনি সেটা বলতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি করেছে। আলোচনায় এটা এসেছে। আমি বলেছি, এগুলো পরীক্ষিত হয়েছে কিনা। তিনি বলেছেন, আসলে পরীক্ষিত হয়নি।

ড. মোমেন বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বিভিন্ন জায়গায় টেস্ট করছে। এখনও সফল হয়েছে কিনা সেটা তিনি (রাষ্ট্রদূত) বলতে পারেন নাই। এটা নতুন, তারা চেষ্টা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি যে দুটি দেশে (নাইজেরিয়া ও সোমালিয়া) প্রয়োগ করা হয়েছে, সেখানকার গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে কিনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চেয়েছেন ড. মোমেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনমুখী। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে সরকার টিকতে পারে না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। বিশেষ করে জ্বালাও-পোড়াও আমরা চাই না। এটাতে (মার্কিন ভিসানীতি) হয়তো সাহায্য করতে পারে। যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, আমাদের নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তারা হয়তো এর প্রেক্ষিতে বিরত থাকবে।

বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। নির্বাচন যেন না হয়, সেটার জন্য তারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে। আমরা এখন জ্বালাও-পোড়াও মেনে নেব না। সরকার হিসেবে আমরা চাই না পাবলিক অ্যান্ড প্রাইভেট প্রপার্টি নষ্ট হোক। রাস্তাঘাট বন্ধ করে র‌্যালি হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সরকার গ্রহণ করেছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা রিজেক্ট করব কীসের জন্য? আমাদের যেগুলো চাই, সেটা তাদের নীতিতে পুনরাবৃত্তি।

এটাতে অস্বস্তি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, কেন অস্বস্তি হবে? তারা করেছে তাদের নিয়মে। আমরা মনে করি, আমাদের নিয়মে স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচনে সাহায্য করবে, তাহলে ভালো। কিন্তু এটা কতদূর সাহায্য করবে আমি জানি না।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটা দর্শন হচ্ছে, গণতন্ত্রের যেন উন্নয়ন হয়। সেটার জন্য তারা চেষ্টা করছে, করুক। গণতন্ত্র যেন সমুন্নত হয়, গণতন্ত্র যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য আমরাও আইন করেছি। যদি ক্যু হয় তাহলে শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। উই হ্যাভ ডান ইট।

এ সময় কোনো দেশেরই নির্বাচন যুতসই নয় বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।