ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে শ্বশুরবাড়িতে ৩ দিনের অনুষ্ঠান শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে শ্বশুরবাড়িতে ৩ দিনের অনুষ্ঠান শুরু

খুলনা: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় তার শ্বশুরবাড়িতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান এবং লোকমেলা শুরু হয়েছে। সোমবার (৮মে) বিকেলে ফুলতলার দক্ষিণডিহির রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ’।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সারা বিশ্বের কবি। বিশ্ব সাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাদের একজন। তার লেখা বাঙালি জাতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে তার অবদান অসামান্য। রবীন্দ্রনাথ ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতা দিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তিনি সগৌরবে বিচরণ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন।

খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনুর রুবাইয়াৎ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিএমএ সালাম এবং ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৃণাল হাজরা।

এর আগে সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ তিন দিনব্যাপী লোকমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

উল্লেখ্য নোবেলজয়ী এই একমাত্র বাঙালি কবি ১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাবা-মায়ের চতুর্দশ সন্তান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের আদি পদবি কুশারী। কুশারীরা ভট্টনারায়ণের চেলে দীন কুশারীর বংশজাত। দীন কুশারী মহারাজ ক্ষিতিশূরের কাছে কুশ (বর্ধমান জেলা) নামক গ্রাম পেয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন এবং কুশারী নামে খ্যাত হন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তার ‘রবীন্দ্রজীবনী ও রবীন্দ্রসাহিত্য-প্রবেশক’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে ঠাকুর পরিবারের বংশপরিচয় দিতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, “কুশারীরা হলেন ভট্টনারায়ণের পুত্র দীন কুশারীর বংশজাত; দীন মহারাজ ক্ষিতিশূরের নিকট কুশ নামক গ্রাম (বর্ধমান জিলা) পাইয়া গ্রামীণ হন এবং কুশারী নামে খ্যাত হন। দীন কুশারীর অষ্টম কি দশম পুরুষ পরে জগন্নাথ। ”

পরবর্তীকালে কুশারীরা বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। যশোরের ঘাটভোগ-দমুরহুদা থেকে ঢাকার কয়কীর্তন থেকে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে খুলনার পিঠাভোগ পর্যন্ত। তবে, পিঠাভোগের কুশারীরাই এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অবস্থাপন্ন হয়ে ওঠেন।

মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত সৃষ্টিশীল ছিলেন  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।