ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নলছিটিতে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৩
নলছিটিতে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটিতে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।  

শনিবার (৬ মে) নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।  
আহত তিনজনের মধ্যে একজন রাকিব হাওলাদা। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে ভৈরবাপাশ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনের পশ্চিম পাশের সড়কে একটি দোকানে আমর ভাই আ. রহমান কাজ করছিলেন। সে সময় খালাতো ভাই মো. রবিউল মৃধা মসজিদ থেকে মিলাদের মিষ্টি নিয়ে এসে আমার ভাইকে জোর করে খাইয়ে দিতে চাইলে সে অপাগরতা প্রকাশ করে। তাতে খালাতো ভাই তাকে বকাবকি করলে একপর্যায়ে তার সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসব শুনে আমরা ঘটনাস্থলে তাদের শান্ত করতে যাই। এরই মাঝে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের প্রতিবেশী তোজম্বার আলীর দুই ছেলে মো. সহিদ ও মো. শাহিন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে আমার বড় ভাই জাহিদ হাওলাদারের মাথা ফেটে যায়। অন্যদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়।  

আহত জাহিদ হাওলাদারের বাবা জাহাঙ্গির হাওলাদার বলেন, যে মিষ্টি খাওয়াতে চায়েছিলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। তাই সন্দেহ হওয়ায় আমার ছেলে মিষ্টি খায়নি। সেটা নিয়ে দুই খালাতো ভাইয়ের মধ্যে একটু হাতাহাতি হয়েছে। কিন্তু যারা আমাদের মেরেছে তাদের সঙ্গে তো আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। তবে তারা কেন হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা করল সেটা বুঝতে পারছি না! আমাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।  

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মো. রবিউল মৃধার মোবাইলফোনে কল দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়েও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  

মো. শাহিন আলী বলেন, আমরা তাদের মারধর করিনি। তারা দুই খালাতো ভাই মারামারি করছিলেন বরং আমরা তাদের দু’জনকে ছাড়িয়ে দিয়েছি। তাদের কারও গায়ে হাতও তুলিনি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।  

নলছিটি থানার ওসি মু. আতাউর রহমান জানান, ঘটনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।