ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রবীন্দ্রনাথ-নজরুল বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস: স্পিকার

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। বর্তমান বিশ্বের চলমান দ্বন্দ্ব- সংঘাত নিরসনে রবীন্দ্র- নজরুল চর্চাই হতে পারে এক অনিবার্য সহায়।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার হোটেল লেকশোরে সঙ্গীত শিল্পী সুস্মিতা আনিস আয়োজিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান নিয়ে সঙ্গীত অ্যালবাম 'হঠাৎ দেখা' এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।  

এ সময় তিনি 'হঠাৎ দেখা' সঙ্গীত অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং আসাদুজ্জামান নূর এমপি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একটি সংস্কৃতি বান্ধব, সুখী, সমৃদ্ধ ও সাম্যের বাংলাদেশ গঠনে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের আদর্শ ও দর্শন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সঙ্গীত শিল্পী সুস্মিতা আনিস। পরে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের সাহিত্য বিশ্লেষণ করেন বিশিষ্ট মঞ্চ নির্দেশক ও নাট্যাভিনেতা মঞ্চসারথি আতাউর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মাদ সামাদ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রত্যেক বাঙালির সত্তার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে মিশে আছেন। তারা সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বাঙালির ব্যক্তি ও সমাজজীবনকে প্রভাবিত করেছেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মানবতাবাদ ও সাম্যের বাণী প্রত্যেককে ধারণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে বাঙালিত্ব, বাঙালি সংস্কৃতি ও মননশীলতা চর্চার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকেও আন্তরিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি দুই বাংলার শিল্পীদের মাধ্যমে এই দুইজন মহান কবির সৃষ্টির সম্মিলন ঘটানোর জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরণের উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷

সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গীতায়োজনে এই অ্যালবামটিকে দুই বাংলার শিল্পী সুস্মিতা আনিস এবং শ্রাবণী সেনের কন্ঠে রবীন্দ্র- নজরুলের প্রেম, বর্ষা, ভক্তিমূলক এবং উদ্দীপনামূলক ১০টি গান রয়েছে। এতে বাচিক শিল্পী সৃজাত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মধুমিতা বসুর কথোপকথনে এক নান্দনিক ঐন্দ্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এসকে/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।