ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় অবাধে নিধন হচ্ছে চিংড়ির রেণু!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
মেঘনায় অবাধে নিধন হচ্ছে চিংড়ির রেণু!

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ও চান্দ্রা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে রাতের বেলা এবং ভোরে প্রকাশ্যে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি মাছে রেণু পোনা। জাটকা রক্ষার অভিযানে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চিংড়ি রেণু ধরে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় পাচার করা হচ্ছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকার মেঘনা নদী উপকূলীয় বাখরপুর গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে সাতক্ষীরা জেলা থেকে আসা চিংড়ি রেণু ধরার কাজে নিয়োজিত প্রায় অর্ধশতাধিক জেলে। তারা দুই মাসের জন্য এই গুচ্ছ গ্রামে এসে সরকারি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কয়েকটি গ্রুপ খোলা আকাশের নিচে তাবুর মতো করে থাকছে।

চিংড়ি রেণু পোনা ধরে এনে আশ্রয় কেন্দ্রের পুকুরে জমা করে রাখছে ড্রাম ও জালের মধ্যে। তাদের এই কাজে সহযোগিতা করছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলমসহ বেশ কয়েকজন। অভিযোগ রয়েছে, শাহ আলম ও তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে তাদের এখানে আশ্রয় দিয়েছেন।

এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম ও শাহ আলম বলেন, আমরা আশ্রয় না দিলেও তারা কোনো না কোনোভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিল করে চিংড়ির রেণু পোনা ধরবে। আমরা তাদের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নেই না। যারা বলছে এটা মিথ্যা কথা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় যেকোনো মাছ ধরাই সম্পূর্ণ নিষেধ। যারা চিংড়ি রেণু পোনা ধরছে তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।