ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে বকেয়া বেতনের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
বরিশালে বকেয়া বেতনের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজর অনার্স শাখার (ননএমপিও) ১৩ মাসের বেতন বকেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বঞ্চিত শিক্ষকরা। এ সময় কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখার পাশাপাশি রুমে তালা ঝুলিয়ে অধ্যক্ষকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রির) বেলা ১১টার দিকে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) এসএম খলিলুর রহমানকে তার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করেন অনার্স শাখার শিক্ষকেরা। এমনকি তাদের ১৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা দেন অনার্স শিক্ষকেরা।

তবে দুপুর ২টার দিকে গর্ভনিং বডির সদস্য মোস্তফা কামাল চিশতী ও মাসুদ করিম লাভু ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষকদের নিয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি তুলে নেয় আন্দোলনরত ১০জন ননএমপিও শিক্ষকরা।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অনার্স শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ননএমপিও প্রভাষক মো. মোকলেছুর রহমান জানান, আমাদের ১৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। অথচ অনার্সের ৫টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের থেকে পাওয়া আয় থেকে এমপিও শিক্ষকরা টাকা নিচ্ছে। যেটা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। আর আমরা ননএমপিও শিক্ষকরা ২-৫ হাজার টাকা যাতায়াত খরচ বাবদ নিয়ে থাকি প্রতিষ্ঠান থেকে। নিয়ম হচ্ছে কলেজের আয় থেকে আমাদের বেতন পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ। অথচ আমাদের বেতন না দিয়ে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সম্মানীর নামে ৭ লাখ টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে আমাদের পাওনা বুজে নিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের গর্ভানিং বডির সদস্যরা বুধবার আমাদের নিয়ে বসে সমাধান করার আশ্বাস দেওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) এসএম খলিলুর রহমান বলেন, আন্দোলনকারী ননএমপিও শিক্ষকদের কোনো বেতন বকেয়া নেই। তারা পাঠদান বাবদ প্রতিক্লাসে ১০০ টাকা করে পেয়ে থাকে। সেখানে হয়তো কিছু দাবি দাওয়া থাকতে পারে। তাদের দাবি থাকলে আলোচনায় বসতে পারে। এ কারণে কলেজ ক্যাম্পাসে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করা কাম্য নয়।

গর্ভনিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য মোস্তফা কামাল চিশতি বলেন, আমাকে অধ্যক্ষ স্যার ফোন দিয়ে আন্দোলনের কথা জানায়। আমি ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের রুমের তালা খুলে আলোচনায় বসি। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার সকাল ১১টায় কলেজ প্রশাসন, ম্যানেজিং কমিটি ও আন্দোলনকারীদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এমএস/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।