ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লোকে লোকারণ্য মার্কেট বঙ্গবাজারে এখন পোড়া গন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
লোকে লোকারণ্য মার্কেট বঙ্গবাজারে এখন পোড়া গন্ধ

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট সকাল থেকে রাত সব সময় থাকতো লোকে লোকারণ্য। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বেশি মুখরিত ছিল বঙ্গবাজারের বেচাকেনা।

অনেক ব্যবসায়ীকে বলতে শোনা যায়, পাশেই ফায়ার সার্ভিস অথচ তারা চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারল না। এর চেয়ে কষ্ট আর নেই। আমরা শেষ হয়ে গেছি।

জনপ্রিয় এ মার্কেট এলাকায় এখন ধ্বংসস্তূপ পোড়া গন্ধ। শতশত ব্যবসায়ীর আয়ের উৎস পলকেই পুড়ে ছাই। মার্কেটের ঠিক বিপরীতে বাংলাদেশের আগুন নেভানোর প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর। তবে তারা যখন আগুন নিয়ন্ত্রণ করলো তখন পুরো মার্কেটের অধিকাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে। বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ২২ ফায়ার স্টেশনের ৪৮টি ইউনিট। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ঘটনার পরপর সংবাদ পেয়ে ব্যবসায়ী ছুটে আসে অগ্নিকাণ্ডের স্থানে। এসে দাউ দাউ আগুন দেখতে পায়। তখন তাদের সম্বল ছিল একমাত্র বুকফাটা আর্তনাদ।  
অনেক ব্যবসায়ীদের বলতে শোনা যায়, মার্কেটের পাশেই ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর অথচ তারাও নিরুপায়।  

দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে তারা নেভাতে পারছে না। অবশেষে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণ করল তখন সবকিছুই পুড়ে ছাই।

ব্যবসায়ীদের আরও বলতে শোনা, এই আগুনের কারণে শত শত ব্যবসায়ী পথে নেমে যাবে। শুধু ব্যবসায়ীরা না এসব দোকানকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কর্মচারীরাও কাজ করে তারাও বেকার হয়ে গেল। হাজার হাজার পরিবারের চলার পথ এই বঙ্গবাজারের মার্কেট।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। বঙ্গবাজার থেকে আশপাশের আরও চারটি মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, ৬৫০ জন জনবল নিয়ে ৪৮টি ইউনিট বেশ কয়েক ঘণ্টা কাজ করে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এই অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজারের কয়েকটি মার্কেটের প্রায় ৫ হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে দোকান মালিক সমিতি। তারা বলছেন, এ ঘটনায় দুই হাজার কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। কয়েক হাজার ব্যবসায়ী সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।  

একই সঙ্গে ঈদের আগেই এসব মার্কেটে কর্মরত অর্ধ লাখ কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ার এবং বেতন না পাওয়ার শঙ্কা কাজ করছে।  

এদিকে, রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩ 
এজেডএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।